সাজেকে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা, মসজিদ-গাড়িতে রাত্রিযাপন

fec-image

মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক সারা বছরই পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এ কারণে বছরজুড়েই সেখানে থাকে পর্যটকের চাপ। তবে ছুটির দিনগুলোতে সেই চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দুর্গাপূজা, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ টানা ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে সাজেক ভ্যালি। তবে পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে গিয়ে এবারের টানা ছুটিতে সেখানে পর্যটকের চাপে দেখা দিয়েছে আবাসন সংকট। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক পর্যটককে রাত কাটাতে হচ্ছে গাড়িতে কিংবা মসজিদে।

রাঙামাটিতে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেকে সারা বছরই পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। তবে ছুটির দিনগুলোতে ভিড়ে কিছুটা বেড়ে যায়। দুর্গাপূজা, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ টানা ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে সাজেক ভ্যালি। তবে পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে গিয়ে এবারের টানা ছুটিতে সেখানে পর্যটকের চাপে দেখা দিয়েছে আবাসন সংকট। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক পর্যটককে রাত কাটাতে হচ্ছে গাড়িতে কিংবা মসজিদে।

পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, যে রুম ৩ হাজার টাকা সেই রুম ১২ হাজার টাকা দাবি করছেন রিসোর্ট মালিকরা।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মালিকরা দাবি করেছেন, পর্যটকদেরক কাছ থেকে কোনও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না, নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে।

হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন বলেন, সাজেকে যারা পরিকল্পনা ছাড়া এসেছেন তারাই বিপাকে পড়েছেন। আমাদের কটেজ আছে ১১২টি। রিসোর্টগুলোতে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারে। সাজেকে আজ তিন শতাধিকের বেশি গাড়ি প্রবেশ করেছে। ২০০ গাড়ি এলে প্রায় চার হাজার পর্যটক হয়ে যায়। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কী পরিমাণ পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেককে রাতে থাকার জন্য আশপাশে বাসা বাড়িতে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। রুম বুকিং ছাড়া কেউ যেন সাজেক বেড়াতে না আসেন।

মঈন উদ্দিন নামে সাজেকে বেড়াতে যাওয়া এক পর্যটক বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আমি সাজেকে এসেছি। রুম বুকিং দিয়েছিলাম অনেক আগে। এর আগেও বহুবার এসেছি, কিন্তু কখনই এত মানুষ দেখিনি। লম্বা ছুটির কারণে এমন চাপ। এবার রিসোর্ট ভাড়া ও খাবারের দামও কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।

সাজেকে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়া পর্যটক পিকু দাশ জানান, আমারা ১২ জন বন্ধু মিলে হঠাৎ প্ল্যান করে সাজেকে এসেছি। কিন্তু কোনো রিসোর্টে রুম পাইনি। বাধ্য হয়ে গাড়িতেই রাত কাটাতে হচ্ছে। তবে আক্ষেপ নেই, মনোরম পরিবেশে আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়ে দেব।

রুম বুকিং ছাড়া আসার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনা জানতে চাইলে পিকু দাশ বলেন, মোটেই ঠিক হয়নি। হুট করে আসার ব্যাপারে অন্যদের নিরুৎসাহিত করছি।

সাজেকের মেঘাদ্রি ইকো রিসোর্টের ম্যানেজার বাদন দাশ জানান, এমনিতেই শুক্র-শনিবার প্রচুর পর্যটকের চাপ থাকে। এবারের লম্বা ছুটিতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বেড়েছে। ৫ অক্টোবর থেকেই অনেক চাপ যাচ্ছে। রাতে অনেকে রুম খুঁজতে আসেন। কিন্তু আমাদের এখানে তো কোনো রুম খালি থাকে না। ৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের সব রুমই ২ মাস আগে থেকে বুকিং।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, রুম সংকটের বিষয়টি শুনেছি। তবে যারা আগে রুম বুকিং করে সাজেক গিয়েছে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পর্যটকদেরও জেনে-শুনে আসা উচিত। তাহলে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না। সব পর্যটককে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন