পাচউবো’র উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর রাঙামাটিতে নৌকাবাইচ
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আগামী ১৮ অক্টোবর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে পাচউবো’র চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপ-সচিব) চেয়ারম্যান এর পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। সদস্য প্রশাসনের সঞ্চলনায় উপস্থিত সকলের মধ্যে পরিচিতি পর্বের পর বিগতবছরের শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশনা করা হয়। অতঃপর বিগত বছরের কার্যবিবরণী ধারাবাহিকভাবে পাঠ করেন, বোর্ডের উপ-পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন।
চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা সভাপতির বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিনকে আরও আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করার লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও শেখ রাসেল নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা বিশাল কাপ্তাই হ্রদে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করার জন্য বিগত বছরের বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে সরকারি-বসেরকারিভাবে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে প্রচারের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ কার্যক্রমকে আরও আকর্ষণীয় ও জাকজমকপূর্ণভাবে তুলে ধরার জন্য সোস্যাল মিডিয়া এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় শেয়ার করার বিষয়ে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
উন্মুক্ত আলোচনায় কমলা ও মিশ্র ফসল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইলাম, বোর্ডের তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি বরুণ বিকাশ দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আজম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সুনীল কান্তি দে, আশীষ কুমার চাকমা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির রাঙামাটি ইউনিটের কার্যকরী কমিটির সদস্য এন এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ জনান।