পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের বেহাল দশা
পানছড়ি উপজেলার পাশপাশি মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং-তবলছড়ি এলাকার জনসাধারনের খাগড়াছড়ি জেলা শহরে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম পানছড়ির বুক চিরেই। তাই সড়কটি জেলার অন্যতম একটি ব্যস্ততম সড়ক।
পানছড়ি ও তাইন্দং-তবলছড়ি এলাকার মুমূর্ষ রোগীদের খাগড়াছড়ির যেতে হয় পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক ধরেই। এই সড়কের প্রধান বাহন চান্দের গাড়ি, মোটর সাইকেল, মাহেন্দ্র, সিএনজি ও কুমিল্লা, ঢাকা, চট্টগ্রামের শান্তি পরিবহন। পানছড়ি থেকে খাগড়াছড়ির দুরত্ব প্রায় ছাব্বিশ কিলোমিটার। প্রতি বর্ষা মৌসুমের ন্যায় এবারেও পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের অনেকাংশ ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে পথচারীদের কষ্টের পাশাপাশি গাড়ি চালকদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। কলাবাগান, লতিবান, নালকাটা, বরইতলি ও মুনিগ্রাম হইতে শিবমন্দির এলাকায় রাস্তার মাঝ বরাবর বড় বড় গর্তগুলোতে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়ই আহত হচ্ছে চালক ও যাত্রীরা।
মাহেন্দ্র চালক শাহআলম, সিএনজি চালক জামাল, টমটম চালক আল-আমিন জানান, ময়লা পানি জমে থাকা বড় বড় গর্তগুলো ভরাট করা অতীব জরুরী। এই রাস্তায় যাত্রীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছে তেমনি গাড়ীর যন্ত্রাংশ নির্র্দিষ্ট সময়ের আগেই অকেজো হচ্ছে। বিশেষ করে গাড়ীর চাকা, বেয়ারিং, সকেট ঘন ঘন নষ্ট হবার ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। রাস্তাটিকে বছর বছর নামে মাত্র সংস্কার না করে স্থায়ীভাবে সংস্কারের দাবি চালক ও পথচারীদের।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মো. ফয়সল বলেন, বার ফিটের সড়কটিকে আঠারো ফিটে উন্নীত করা হবে। ইতিমধ্যে রাস্তার ডিজাইন করা হয়েছে। এই বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানালেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে সড়কে যে গর্ত তৈরি হয়েছে তা সহসাই ভরাট করে যান চলচলের উপযোগী করা হবে। তবে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কটি আঠারো ফিটে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হলে খুব টেকসই সড়ক হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।