পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার অভিযানের সুপারিশ

12895378_219170261775290_560733862_n

স্টাফ রিপোর্টার:

পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার অভিযানের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (এমপি)।

তিনি বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী কোন জাতিগোষ্ঠী কিংবা সম্প্রদায়ের হতে পারে না। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারাই সন্ত্রাস। সন্ত্রসীদের কোন দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তাই যতদ্রুত সম্ভব সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বুধবার সকাল ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, পার্বত্য জেলার মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রমূখ।

বৈঠক শেষে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রবাজী ও চাঁদাবাজীর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর (তৎকালিন শান্তিবাহিনী) অবৈধ অস্ত্র জমা দিয়েছিল। চুক্তির পর পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র থাকার কথা না। তবে যারা এসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ অস্ত্র থাকলে পাহাড়ে শান্তি থাকবে না।

বৈঠকে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার জন্য সরকারকে সুপারিস দেয়ার লক্ষ্যে সকলে একমত হয়েছেন। এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেন, পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু এই অভিযানে যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানি না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

বৈঠক সর্ম্পকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, বৈঠকে রাঙামাটির সমস্যা ও সম্ভবনা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে ৫টি বিষয় হচ্ছে- রাঙমাটির বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদের নাবত্য ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ বৃদ্ধি, শিক্ষক শূণ্য পদ পুরোন, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন এবং উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকাণ্ড নিয়েও গুরুত্পূর্ণ সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয় হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন