পার্বত্য অঞ্চলে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য করতে সরকার আন্তরিক: বানিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ
থানচি প্রতিনিধি:
পার্বত্য অঞ্চলে কৃষিপণ্য কাজুবাদামের উৎপাদন, পুষ্টিগুন উন্নয়ন ও রপ্তানিকরণসহ কৃষকদের উন্নত জাতের চারাকলম, প্রশিক্ষণ, সরকারি পৃষ্টপোষকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বর্তমান সরকারের দৃষ্টি খুবই আন্তরিক। পাহাড়ে কৃষিপন্য উৎপাদনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ, সীমান্তে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, দুর্গম অঞ্চলে অধিবাসীরা বানিজ্যিকভাবে রপ্তানীযোগ্য হয়ে গড়ে উঠলে অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা ব্যাপক উন্নয়নে নিশ্চিত। বিশেষ এলাকা বিশেষ উদ্যোগের বিষয়টি সন্নিবেশ করার আবশ্যাক।
বান্দরবানে থানচি উপজেলায় শুক্রবার সকাল ১০টা কাজুবাদাম পুষ্টিগুণ উন্নয়ন ও রপ্তানি শীষর্ক সেমিনারে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বাংলদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস্ ম্যানুষফ্যাকচারার্স এসোসিশন, এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি) বানিজ্য মন্ত্রনালয় আওতায় থানচি উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ যৌথ আয়োজনে সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আর ও উপস্থিত ছিলেন একই মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওবাইদুল আজম,বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (কো-অর্ডিনেটর) যুগ্ন সচিব ফকির ফিরোজ আহম্মদ, জেলা কৃষি বিভাগে উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন, বাংলদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস্ ম্যানুষফ্যাকচারার্স এসোসিশন প্রেসিডেন্ট মো: আবদুস ছালাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াইহ্লামং মারমা, উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা, নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক ।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির’র সঞ্চালনায় সমাবেশে উপজেলার ৪ ইউনিয়নে কাজুবাদাম চাষী দরিদ্র কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন । তারা কাজুবাদাম চাষের গুনগতমান সাফল্য হলেও কাজুবাদাম উক্তোলনে সময় প্রচুর বৃষ্টি, অতি তাপমাত্রা, অসচেতনতা, প্রশিক্ষণহীন, বাজারজাত করনে প্রধান সমস্যা যার কারনে কৃষকরা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবার বিষটি তুলে ধরলেন কাজুবাদাম চাষী উবামং মারমা করবারী, রেংনিং ম্রো করাবারী। বিষয়টির স্থায়ী সমাধানে লক্ষ্যে সরকারি পৃষ্টপোষকতা জরুরী বলে জানালেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা ও আওয়ামী লীগে সভাপতি মংথোয়াইম্যা মারমা (রনি) ।
সচিব আরও বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহনে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।