উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

বান্দরবানে ভোটগ্রহণ শুরু, কেন্দ্রে ভোটার নেই

fec-image

গুড়ি গুড়ি বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বান্দরবানের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সদর ও আলীকদমে দুই উপজেলার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে কোন লাইন দেখা যায়নি।

বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে দুই উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে পৌর এলাকার হাফেজঘোনা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিয়েছেন মোটর সাইকেল প্রার্থীর আব্দুল কুদ্দুছ। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আনারস প্রতীকে একে এম জাহাঙ্গীরকে মাঠে ও ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়নি।

জানা গেছে, জেলা সদরের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে একে এম জাহাঙ্গীর ও মোটর সাইকেল প্রতীকে আব্দুল কুদ্দুছ দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের মামুনুর রশীদ, টিয়া পাখি প্রতীকে প্রকাশার বড়ুয়া পাপন ও উড়োজাহাজ প্রতীকে ফারুক আহমেদসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাতির প্রতীকে মেহাই নু মারমা ও কলসি প্রতীকে সানজিদা আক্তার দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে আলীকদমে উপজেলায় আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোয়াত কলমের প্রার্থীর জামাল উদ্দিন ভোট দিয়েছেন। আলীকদমেও ভোটারের উপস্থিতি চিত্র অনেকটাই কম দেখা গেছে।

সেখানে উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলমের প্রার্থীর জামাল উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতীকে আবুল কালাম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক কফিল উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তালা চাবি প্রতীকের মো. লিটন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীক শিরিনা আক্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পদ্মফুল প্রতীকে ইয়াছমিন আক্তার মনি।

নির্বাচন অফিস তথ্য মতে, বান্দরবান সদর ছাড়াও আলীকদম উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ৭১ হাজার ৪শত ৪৪ জন। তার মধ্যে মহিলা ৩৩ হাজার ৮শত ৭৪ ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫শত ৭০ জন। এছাড়াও স্থায়ী ভোট কেন্দ্র ৪৫টিসহ মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১শত ৬৯।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩২ হাজার ৮০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৫২১ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ২৮৪ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২১টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯৪টি।

জেলা সদর উপজেলায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারের আনাগোনা অনেকটাই কম দেখা গেছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতির আমেজ নাই বললে চলে। তবে ভোট কেন্দ্রে বাইরে যে যার প্রতীকের এজেন্টে উপস্থিতি পাশাপাশি পুরুষের ভোটার চেয়ে কিছুটা নারী ভোটারদের দেখা গেছে। তবে বম সম্প্রদায়ের ভোট কেন্দ্র লাইমি পাড়া, গেসমনি ও কানাপাড়া ভোট কেন্দ্র পুরোপুরি ভোটারদের দেখা মিলেনি।

ভোটাররা বলছেন, যে প্রতিনিধি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন তাকে তারাই ভোট দিবেন। তবে আগের মতন নির্বাচনের আমেজ নাই। অধিকাংশ ভোটাররা বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান ভোটাররা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহদাত হোসেন জানান, সকাল থেকে দুই উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকায় ভোটারদের উপস্থিত কম বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্যা, একই তারিখে রোয়াংছড়ি ও থানছি উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কুকি চিন ইস্যুতে এই ২ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন