পিতাকে হত্যার পর ছেলেকে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা


কক্সবাজারের মহেশখালীতে পিতাকে হত্যার পর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে হত্যা মামলার আসামীরা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীর পাড়া গ্রামে। সদ্য এসএসসি পাশ করা নিহত ছালেহ আহমদের ছেলে কামরুল সালেহ আয়ুবকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার খবর প্রকাশ পেলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
গত ১৫ মে আয়ুবের পিতা ছালেহ আহমদকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে আহত করে এবং ১৭মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মারা যান তিনি। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৭দিন পর মহেশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই আসামীরা মামলা তুলে নিতে আয়ুবের পরিবারকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে বলে তারা জানায়।
এদিকে আসামীরা হত্যা মামলাটির ২নং আসামি শাহাদতের বাগান বাড়ির গাছ কর্তন ও খামারবাড়ি পুড়ানোর মিথ্যে অভিযোগে নিহত ছালেহ আহমদের পুত্র আয়ুবকে আসামি করে থানায় মিথ্যে মামলা দায়েরের পায়তারা করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
আয়ুব জানান, ৬ জুন রাতে মহেশখালী থানা থেকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। তার বিরুদ্ধে খামার বাড়িতে আগুন ও গাছ কর্তনের অভিযোগ আছে বলে জানান।
এদিকে আয়ুবের বন্ধু আশরাফুল হাসান জিসান বলেন, ৬ জুন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আয়ুব সহ তারা কয়েকজন বন্ধু মহেশখালী আদিনাথ জেটিতে গল্প করছিল। ঐসময় আয়ুব কিভাবে ঘটনা ঘটালো তা বোধগম্য নয়। নিশ্চয় আয়ুবকে তার পিতার হত্যাকারীরা ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
আয়ুবের মা কামরুন্নেছা বলেন, স্বামী হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানান লাঞ্চনা ও হয়রানীর শিকার হয়েছি। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখন আমার ছেলেকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আসামীদের হুমকির মুখে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসীরা জানান, শাহাদতের খামারবাড়ি পোড়ানো ও গাছ কর্তন করার মত কোন ঘটনা তারা শুনেনি। পিতাকে হারিয়ে আয়ুব তার ছোট ভাই বোনদের নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এসময় তারা আয়ুবের পিতা ছালেহ আহমদ হত্যাকাণ্ডের আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
করোনা মহামারীতে কিছু কুচক্রী মহল নিজেদের ফায়দা লুটতে এই সব জণন্য কাজের সহযোগিতা করে আইন শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবৃদ্ধ করতে চাই।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, খামার বাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তবে এই বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে, কেউ যেনো হয়রানি না হয় সে দিকে লক্ষ রেখে কাজ করা হচ্ছে।