উখিয়া রেড জোন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা
দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। যার ফলে কক্সবাজার জেলার পর এবার উখিয়ার আংশিক এলাকা রাজাপালং ইউনিয়নের ২,৫,৬ ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ড, পালংখালী ইউনিয়নের ১, ৪ ও ৫ নাম্বার ওয়ার্ড। এছাড়াও রত্নাপালং ইউনিয়নের জনবহুল ব্যস্ততম স্টেশন কোটবাজারকে রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ৮টি নির্দেশনা প্রদান করেছেন উপজেলা প্রশাসন। রবিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারীকৃত এ নির্দেশনা ৭জুন রাত ১২টা থেকে ২১ জুন রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। উক্ত নির্দেশনার গুলো হলো…
১. রেড জোন এলাকার সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকলকে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২. সকল প্রকার ব্যক্তিগত যানবাহন ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। রেড জোন এলাকায় ইজিবাইক, টমটম, সিএনজিসহ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণ, হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
এ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহণ, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের (অনডিউটি) পরিবহণ, কোভিড ১৯ মোকাবেলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।
৩. সকল প্রকার দোকান পাঠ, মার্কেট, হাট, ফুটপাতের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র কাঁচা বাজার ও মুদির দোকান সোমবার ও বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চালু থাকবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে।
৪. কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
৫. রবিবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকিংসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা থাকবে। সকল হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় পরিচালিত ব্যাকিং সেবা প্রদানকারী এর আওতার বাইরে থাকবে।
৬. জরুরী সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচিত সংবাদকর্মীদের এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় রেড জোনে নিয়োজিত সেচ্ছাসেবীদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উখিয়া কর্তৃক ছবি যুক্ত বিশেষ পরিচিতি পত্র দৃশ্যমান অবস্থায় গলায় ঝুলানো থাকা সাপেক্ষে কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে।
৭. প্রকাশ্য স্থানে বা গণ জমায়েত করে কোন প্রকার ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোন পণ্য বিতরণ করা যাবে না।
৮. রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত প্রতিষ্ঠান/কর্মী শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার/জেলা প্রশাসক কক্সবাজার কর্তৃক অনুমতি সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে। তবে রেড জোনে কোন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যাবেনা।
এতদ উদ্দেশ্যে গঠিত ওয়ার্ড কমিটি সমূহ নির্দেশনাবলী কঠোরভাবে বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী।