পুনর্বাসন কর্মসূচির খাদ্যশস্য ব্যবহৃত হচ্ছে জনসংহতির সাংগঠনিক কাজে

Langadu_Upazila

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটির লংগদুতে পুনর্বাসন কর্মসূচির খাদ্যশস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একাংশের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে চাউল কর্তন করায় তারা বিক্ষুদ্ধ হলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জনসংহতি সমিতির সদস্যদের পুনর্বাসন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পসহ বিভিন্ন ত্রাণ কর্মসূচির বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য থেকে সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করার জন্য কর্তন করা হচ্ছে খাদ্য শস্য। গত শুক্রবার কালোবাজরে বিক্রির অভিযোগে মাইনীমুখ লঞ্চঘাট থেকে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই সদস্য জাকের বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আটক করার পর এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

এই ঘটনার বিষয়ে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান,মুলতঃ ত্রাণের চাউল নিয়ে যাওয়ার সময় দুই উপজাতি ও একজন বাঙ্গালীকে গোয়েন্দা সংস্থা সদস্য জিজ্ঞাসা করলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যর সন্দেহে হলে তার দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে বিষয়টি জানালে লংগদু থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে খাদ্যশস্যগুলো বারেক ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়।
কর্মকর্তা রেজাউল করিম আরো জানান,.দশ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যর মধ্যে জেএসএস এর ৪ টন, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থীর ৪টন ও আনসার ব্যাটালিয়নের ২টন সব মিলিয়ে ১০ টন খাদ্যশষ্যর কাগজপত্র পাওয়া যায়।
বিলম্বে ডিও ছাড়পত্র বিষয়ে লংগদু খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকে জানান, প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে যথাসময়ে খাদ্যশস্যগুলো বিলি করা যায়নি। এতে কারো কোন ধরণের বিন্দুমাত্র অবহেলা ছিল না।

তিনি আরো জানান, বরাদ্দকৃত তিনমাসের চাউল ৩০০ কেজি থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক কাজের জন্য ৫০ কেজি কর্তন করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করা হয়।  পরে জানতে পারে সঠিক কাগজপত্রের মাধ্যমে এসব খাদ্যশস্য গুদাম থেকে ছাড়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জনসংহতি সমিতির সদস্যদের (আত্বসমর্পনকারী শান্তিবাহিনী) জনপ্রতি মাসে ১০০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ রয়েছে। অথাৎ ৯০ জনের তিনমাসের ৪টনের মধ্যে ২টন বিক্রি করা হয়। ভারত প্রত্যাগত উপজাতি শরাণার্থীদের ৪ টনের মধ্যে ২টন এবং আনসার ব্যাটালিয়নের ১ ২টনের মধ্যে ৪টন বিক্রি করা হয়। সবমিলিয়ে ১০ মেট্রিক টন চাউল মাইনীমুখ বাজার শামসুল আলমের কাছে বিক্রি করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন