প্রবারণা উৎসবে মানিকছড়িতে শতাধিক বিহারে ফানুস উড়ানোর প্রস্তুতি
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। যা আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। ফলে এ বছর ৯ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত হবে প্রবারণা উৎসব। আর এই উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ১০১টি বৌদ্ধ বিহারে চলছে ফানুস তৈরির প্রস্তুতি।
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার প্রথম মংরাজ বাড়ীর রাজ জেতবন বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ক্ষেমাসারা মহাথের জানান, বাংলা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বৌদ্ধগণ ফানুস উড়িয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করেন। যা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তিন মাসব্যাপী ব্রতের সমাপ্তি নির্দেশ করে। এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। দীপাবলি উৎসবে আতশবাজির পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব ফানুস ব্যবহৃত হয়। এটি অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে ধর্মের নতুন (আলোকিত) পথের সূচনার অনুষ্ঠান।
এ বছর উপজেলার ১০১টি বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিটি বিহারে বিহারে ভক্তরা ফানুস তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এবার প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনে সরকার প্রতিটি বিহারে ৫০০ কেজি হারে চাল বিতরণ করায় উৎসব পালনে স্বস্তি এসেছে প্রতিটি বিহারে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজ জেতবন বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবারণা উৎসবে ফানুস উড়াতে ফানুস বাতি বা ঢোল বাতি বানাচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী যুবকেরা।
এ সময় শিক্ষক ও সংবাদকর্মী আব্রে মারমা বলেন, চন্দ্র মাস অনুযায়ী আগামী ৯ অক্টোবর রোববার প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হবে। এ দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ফানুস বাতি উড়ানোর মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তি দূরে সরিয়ে আলোকিত পথের সূচনা করতে ফানুস বাতি উড়িয়ে আনন্দ উদযাপন করেন। আমরা উপজেলার কেন্দ্রীয় এই বিহার থেকে এবার ৫০টি ফানুস উড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।