প্রবাসী সংগঠনের টাকা আত্মসাৎ করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলাস্থ পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর জনৈক মোস্তাক কর্তৃক প্রবাসীদরে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৌদি আরবের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রক্তঘাম ঝরানো টাকা নিয়ে নিজের নামে জমি ক্রয় করে অভিযুক্ত মোস্তাক ইতোমধ্যে বিলাস বহুল ভবন নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। এ নিয়ে সৌদি আরবস্থ থাইংখালীর প্রবাসীরা উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা যায়, সৌদি আরবের শিল্পনগরী জেদ্দায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর প্রবাসীদের নিয়ে“ সাউথ ওশান প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা থাইংখালী (সপওয়াথ) নামক প্রবাসী সংগঠনের সদস্য থাইংখালীর রহমতের বিল এলাকার ছৈয়দ আলম আরকানীর পুত্র সাবেক প্রবাসী সদস্য মোস্তাক আহমদ গত ৯ মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে বেড়াতে আসে। প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা টেকনাফ-কক্সবাজার তথা আরকান সড়কের নিকটে দেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০ শতক জমি নেয়ার জন্য উক্ত মোস্তাককে দায়িত্ব দেয়। সংগঠনের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থাকার সুবাধে তার কাছে রক্ষিত প্রবাসীদের আমানতের ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে সংগঠনের নামে জমি রেজিস্টি করতে প্রথম দফা ১০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। প্রবাসীদের সংগঠনের উক্ত টাকায় দেশে এসেই প্রতারণার পথ বেচে নেয় মোস্তাক। সৌদিতে বসবাসরত রেমিট্যান্স যেদ্ধাদের রক্তঘাম ঝরানো টাকা নিয়ে হাফেজ শাহ আলম নিকট থেকে নিজের নামে জমি ক্রয় করে বিলাস বহুল স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করলে মুল ঘটনা বের হয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোস্তাক আহমদ প্রবাসীদরে টাকায় নেয়া জমি তে বিলাস বহুল ভবন নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে পুরোদমে। দেশের আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে জমি ভরাট করে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে।
এদিকে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কষ্টার্জিত টাকা আত্মসাত করে নিজের নামে জমি ক্রয়ের বিষয়ে প্রবাসীরা তার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য ফোনে শতবার চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হয়।
দেশে থাকা প্রবাসীদের আত্মীয় স্বজন মোস্তাকের সাথে টাকা আত্মসাতের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে কথা বললে তাদের সাথে উল্টো অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অবশেষে সাউথ ওশান প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা থাইংখালী(সপওয়াথ) নামক প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা টাকা আত্মসাতের প্রতিকার চেয়ে, অবৈধ জমির উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের জন্য গত ৩ অক্টোবর উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ও সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে জানতে চাইলে মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক চিম্পু বড়ুয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করে মনে হয়েছে মোস্তাক থাইংখালীতে যে জায়গাটি ক্রয় করেছে সেটি তাদের প্রবাসী সংগঠনের টাকায় ক্রয় করেছে৷ আমি ইতিমধ্যে সংগঠনটি সভাপতি নুর মোহাম্মদ নুর এর সাথে কথা বলেছি সেও বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবে একাধিকবার বৈঠকের কথা স্বীকার করেছে।