বান্দরবানে অপহরণের পর আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

বান্দরবানে রাজবিলা ইউনিয়নের ৪নং রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণের পর ক্য চিং থোয়াই মারমা (২৭) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে।

শনিবার (১৮ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ক্য চিং থোয়াই মারমার পিতার নাম তাউ থোয়াই মারমা (৫৭)।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত ক্য চিং কে গভীর রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় তারপর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে আওমালীগের সমর্থন করে বলে তাকে হত্যা করে বলেও জানায় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী আরও জানায়, সন্ত্রাসীরা কিছু দিন আগে একই এলাকার জয়মনি তংতঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ। কিছু দিন ধরে এই হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাত ২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ক্য চিংকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়, অপহরণের সময় সন্ত্রাসীরা দুই তিন রাউন্ড ফাকা গুলি করে। তখন এলাকায় চিৎকার চেঁচামেঁচি শুরু হলে ১ কিলোমিটার দূরে ৫নং রাবার বাগান এলাকায় তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রাজভিলা পুলিশ ক্যাম্প ও বান্দরবান সদর থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেন।

এ হত্যাকান্ডে জেএসএস (জনসংহতি) সমিতির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ালীগ নেতৃবৃন্দ।

এই বিষয়ে রাজভিলা ইউনিয়নের চেয়াম্যান কে অং প্রু মারমা জানান, মূল ঘটনা হয়েছে রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। তার পরিবার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। নিহত ক্য চিং থোয়াই আওয়ামী লীগ কে সমর্থন করার কারণে এলাকার একদল সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। কেন পাহাড়ি হয়ে এই দল সর্মথন করবে? আর তার জন্য ভোর রাতে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গুলি করা হয়।

এই প্রসঙ্গে আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে রাজবিলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল জলিল জানান, পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

এদিকে ডুলুপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে একইদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ১টি টহল দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ মে একই এলাকায় জেএসএস সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এর দুই দিন আগে ৭ মে জেএসএস কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে ও ফোলাধন তংচঙ্গ্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার সন্ধান এখনো মেলেনি। সে সময় ওই ঘটনার জন্য স্থানীয় জেএসএস মগ বাহিনীকে দায়ী করেছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জেএসএস, বান্দরবান, হত্যা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন