মহেশখালীতে আলোর পাঠশালা ”সাহিত্য পুরস্কার-২০১৯” এর বিজয়ীদের সম্মাননা প্রদান

“শুদ্ধ সুন্দর মানুষের জন্য, নির্ভীক জ্বলে উঠি সত্যে” এই স্লোগানে মহেশখালীর পানিরছড়ার উন্মুক্ত পাঠাগার আলোর পাঠশালা’র আয়োজনে ”সাহিত্য পুরস্কার-২০১৯” এর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোর পাঠশালার সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় শনিবার (২৯ আগস্ট ) বেলা ১২ টার দিকে পাঠাগার কক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতে পাঠাগারের সদস্য মামুনুর রশিদের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্প দিয়ে বরণ করে নেন পাঠশালার সদস্য সৈয়দ আলম ও রফিক আজাদ এবং সম্মাননা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আত্বজীবনী তুলে দেন আলোর পাঠশালার সদস্য এম শাকের উল্লাহ। আলোর পাঠশালা সৃষ্টির ভুমিকা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কামরুল হাসান।
আলোর পাঠশালা পাঠাগারের সদস্য এম আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ফেরদৌস, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল কক্সট্রিবিউনের বার্তা সম্পাদক ও পাবর্ত্য নিউজ মহেশখালী প্রতিনিধি বশির উল্লাহ, রিপোর্টার্স ইউনিটি মহেশখালী’র সভাপতি এনামুল হক ও সহ সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দিদারুল ফেরদৌস “আলোর পাঠশালা” সৃষ্টির পেছনে যাদের অবদান রয়েছে তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সকলকে শিল্প, সাহিত্য, সংগীতের দিকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ক্রীড়া, সাহিত্য চর্চা সামাজিক অনাচার এবং মাদকদ্রব্য থেকে তরুনদের দুরে সরিয়ে রাখে। ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে সমাজকে রক্ষা করতে আলোর পাঠশালার সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, অন্যায়- অনাচারকে পরাজিত করতে হলে অবশ্যই শিক্ষা ও শিক্ষিত মানুষ দিয়ে পরাজিত করতে হবে। সুতরাং সকল শিক্ষিত যুবককে সুশিক্ষিত হওয়া দরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে “সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯” এ বিজয়ী এম আমিনুল ইসলাম, নাজমুল হাসান রিপন, মোস্তফা সাদেক আরমান, মামুনুর রশিদ ও সরওয়ার আজমকে বিজয়ী পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন।
সবশেষে মামুনুর রশীদের রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।