মহেশখালীর গরু বাজারে তিল ধারনের ঠাঁই নেই, বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা বেশি
মহেশখালী প্রতিনিধি:
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলার ৬ টি গরুর বাজার পরির্দশন করে জানা গেছে, বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা বেশি গ্রাহকদের ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহেশখালী পৌরসভার জেটিঘাটের পাশে পান বাজার, বড় মহেশখালীর পান বাজার, কালারমারছড়ার স্কুলের মাঠ, শাপলাপুরের বড় বাজার, হোয়ানকের পান বাজার, ছোট মহেশখালী লম্বাঘোনা বাজার সহ গরু বেচাকেনা বেড়েছে গত ২ দিন ধরে। তবে চাহিদা মত সবচেয়ে বড় ও ছোট গরু পাওয়া যাচ্ছে পৌরসভার পান বাজার মাঠে। এই বাজারে বিক্রিতাদের কোন ধরনের টেক্স দিতে হয়না। মহেশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া বিনা পয়সায় গরু বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়েছে সাধারন মানুষকে। ফলে গরুর মালিকরা কম দামে গরু বেচাকেনা করছে এই বাজারে। সার্বাক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।
শুক্রবার বিকালে বাজারে গিয়ে দেখা গেল হোয়ানকের পানিরছড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ি এখলাছ মিয়া নিয়ে এসেছে ২ লক্ষ টাকা দামের সুন্দর একটি গরু। গরুর মালিক জানান, তিনি খুব যত্নসহ কারে গরুটি বিক্রির উপযোগি করে তুলেছেন। তিনি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পেলে গরুটি বিক্রি করবেন বলে জানান। এছাড়াও মহিষ, ছাগল উঠেছে পর্যাপ্ত পরিমান উঠেছে বাজারে। প্রথম দিকে কোরবানীর পশু সংকট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা অনেকটা কেটে যাচ্ছে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। গত তিন দিনে এর আগের সময়ের তুলনায় দ্বি-গুন গরু বাজারে এসেছে।
অপরদিকে, কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে মহেশখালী উপজেলার ৬ টি পশুর হাট সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানিয়েছেন, মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র বনিক।
তিনি জানান, সড়কে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার রয়েছে। ইউনিয়ন ভাগ করে এই টহল জোরধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকও দায়িত্ব পালন করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পশুর হাট ও মার্কেট কেন্দ্রিক যানজট নিরসনে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছেন।
পশু বেচাকেনার ক্ষেত্রে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোন ধরণের হয়রানী-চাঁদাবাদির শিকার হতে না হয় সেজন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোরবানীর পশুর আঁড়ালে যাতে ইয়াবা না ঢুকে সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।