মাটিরাঙ্গায় আটক ভারতীয় নাগরিকের ব্যাপারে তথ্য চেয়েছে ভারত
পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট:
মাটিরাঙায় ধৃত দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুমের অস্ত্র পাচারকারী ও তার দুই সহযোগীর ব্যাপারে বিজিবির কাছে তথ্য চেয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দি হিন্দু’র আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়ান আর্মস হ্যন্ডলার হেল্ড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধৃত গৌতম ত্রিপুরা দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুমের বেলতলি এলাকার বাসিন্দা। তিনি এবং তার সাথে আটক লক্ষী চাকমা ও রামচন্দ্র চাকমা মায়ানমার থেকে অস্ত্র ক্রয় করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত ভারতীয় বিদ্রোহীদের ট্রেনিং ক্যাম্পে সরবরাহ করতো।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিএসএফএর এক সদস্য দি হিন্দু’র প্রতিনিধিকে বলেন, তার কাছ থেকে মায়ানমার, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র চোরাকারবারী গ্রুপের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বিএসএফ খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পুলিশ স্টেশনের কাছে ধৃত গৌতম ত্রিপুরার ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে পাওয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আটক গৌতম ত্রিপুরা অস্ত্র নিয়ে আন্তঃসীমান্তে তার অবাধ চলাচলের কথা স্বীকার করেছে।’ বিএসএফ ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে এ বছরের মার্চে মিজোরামের রাজধানী আইজলের কাছে উদ্ধার হওয়া বিপুল অস্ত্রের সাথে গৌতম চাকমার সম্পর্ক থাকতে পারে।
ভারতের মিজোদের অনেকেই ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরী করেছে । বাংলাদেশের পাবর্ত্য চট্টগ্রামের লুসাই, বোম, পাংখোদের সাথে ভারতের মিজো এবং বার্মার চিন-দের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । ঐ এলাকার বাংলা ভাষা-ভাষীদের তাদের অস্তিত্ত্বের স্বার্থে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা উচিত । অন্যথায় তারা চাকমা-মামরা-ত্রিপুরা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ শুরু করতে পারে । তাদের সাথে ব্যাপটিশ খৃষ্টান মিশনারী দল জড়িত । মিশনারীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে বের করে দেওয়া উচিত ।