আদালতে সাক্ষ্য দিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিয়াকত
কক্সবাজারের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পুলিশের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
রোববার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল আল মামুনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য প্রদান শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় তাকে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আদালত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।
টেকনাফের আব্দুল করিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন লিয়াকত আলী।
তিনি টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, গত ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট টেকনাফ থানায় দায়ের হওয়া বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার আব্দুল করিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন লিয়াকত আলী। তিনি ওই মামলার ৬ জন আসামির জবানবন্ধী গ্রহণ করেছিলেন। মামলায় নির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য দিতে সকাল ১০টায় পুলিশের কড়া পাহারায় প্রিজন ভ্যানে লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়।
গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল।
এতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর সাত আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আদেশের পর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়। আর টেকনাফের আব্দুল করিম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিয়াকত আলীকে শনিবার কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়।
সেখান থেকে রোববার বিকালে তাকে ফের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।