রাঙ্গামাটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ৪ নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর পরিবার।
শনিবার (৪ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালে বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়ার পর থেকেই পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এলাকার কতিপয় ব্যক্তিবর্গ ক্রমাগত বিরোধীতা করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ভূষণছড়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক নাছির হাওলাদার তার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে নাসরিনকে দিয়ে চেয়ারম্যান মামুনের বিরুদ্ধে কল্পিত কাহিনী রচিত করে একটি বানোয়াট মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ রয়েছে, নাসরিনের পিতা নাছির হাওলাদারকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজি করিয়ে তার গর্ভবতী মেয়েকে দিয়ে মামুন চেয়ারম্যানকে ঘায়েল করার জন্য চেষ্টা করছে ভূষণছড়া এলাকার কতিপয় ব্যক্তিবর্গ।
এসব ব্যক্তিরাই নাছির হাওলাদার ও তার মেয়েকে দিয়ে একটি কল্পিত ধষর্ণের ঘটনা রটিয়ে সেই ঘটনার মূল নায়ক হিসেবে মামুন চেয়ারম্যানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাই এই মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান চেয়ারম্যান মামুনের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নাসরিনের মা পারুল বেগম জানান, তার মেয়ে নাসরিনকে কাপ্তাইয়ের একজনের সাথে বিয়ে দেওয়া হলেও সেই স্বামীকে তালাক দিয়ে চট্টগ্রামে তার মায়ের সাথে বসবাস করছিল। সেখানে তারই প্রতিবেশী স্বজনের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে নাসরিন গর্ভবতী হয়। নাসরিন গর্ভবতী শুনে যুবক নাসরিনের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এঘটনার কথা জানােেত পেরে চট্টগ্রামের তাদের প্রতিবেশীরা নাসরিন ও তার প্রেমিককে ধরে ইপিজেড থানায় হস্তান্তর করে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে তারা সেখান থেকে বের হয়ে এসে প্রেমিক পালিয়ে যান বলে তিনি জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান মামুনের বাবা মো. সোলাইমান,মা গোলেনুর বেগম, স্ত্রী নাসরিন আক্তার, অভিযোগকারী নাসরিনের মা পারুল বেগম প্রমুখ।