রামগড়ে ওএমএস’র সুবিধায় নিম্নআয়ের মানুষ খুশি

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালিত ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা কিনতে পেরে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ বেশ উপকৃত হচ্ছে। ফলে সরকারের এ বিশেষ সুবিধায় প্রান্তিক মানুষ অত্যন্ত খুশি।

রামগড় পৌরসভা এলাকায় নিযুক্ত তিনজন ওএমএস ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিনই ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি, হকার, দিনমজুর, শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষের ভীড় দেখা যায়।। ডিলার পয়েন্টে আসা ক্রেতারা সরকারের এ বিশেষ কর্মসূচিতে তাদের উপকৃত হওয়ার কথা জানান।

জানা যায়, রামগড় পৌর এলাকায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে ওপেন মার্কেটিং সিস্টেম (ওএমএস)কর্মসূচির চাল ও আটা গত ২৫ জুলাই থেকে বিক্রি শুরু হয়ে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলার কথা খাদ্য অধিদপ্তরের নিযুক্ত তিনজন ডিলার হচ্ছেন, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাইপুল এলাকায় মো. হারুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামগড় বাজারে হাশেম খাঁ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিনেমাহল বাজার এলাকায় মো. শাহ আলম। সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্রিয়কেন্দ্রগুলো খোলা থাকে। চাল কেজি প্রতি ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারেন ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্র হতে। প্রতিটি ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাও বিক্রয়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করেন।

ওএমএস ডিলার মো. শাহ আলম বলেন, দৈনিক বিক্রির জন্য এক হাজার ৫০০ কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। অনেক সময় নির্ধারিত সময়ে আগেই মজুদ শেষ হয়ে যায়।তাই চাহিদা ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
রামগড় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ভুইয়া জানান, উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ওএমএসের কার্যক্রম চলছে। ছোটখাটো যে কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। অধিক চাহিদায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার বিষয়টিও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করবেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন