২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা

fec-image

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় রবিবার (১৬ জুন) রাত থেকেই শুরু হয়েছে পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ঈদের দিনও সকালেও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে শুরু করা হয় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম।

ঈদের দিন দুপুরে বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, ‘দুপুর ২টার আগেই দক্ষিণ সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে।’

এদিকে দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিলরা জানিয়েছেন, তারা ২৪ ঘণ্টার আগেই সব বর্জ্য অপসারণ করবেন। এ লক্ষ্যে তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের পরিছন্নতা কর্মীরা অলিগলি এবং মূল সড়ক থেকে কোরবারি পশুর উৎপাদিত বর্জ্য পরিষ্কার করছেন। এরমধ্যে ১, ৩, ১৩, ১৮, ২৪, ২৬, ২৯, ৩৯, ৪১, ৪২, ৫৩, ৫৫, ৫৬, ৫৭ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ সিটির পশুর হাটের বর্জ্য ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ডিএসসিসির লাইভ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেখা যায়, রাজধানীবাসীকে মেয়রের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুরোদমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম চলমান আছে।

দক্ষিণ সিটির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল হক এবং ১৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেফালি আক্তার জানান, মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের করা সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য ঈদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন কাউন্সিলরা। তাদের এমন উদ্যোগের অভিভূত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদুল আজহা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন