অবশেষে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্ধ হচ্ছে পলিথিনের ব্যবহার

fec-image

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পলিথিন ব্যাগ ও পলিথিনের তৈরি সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কার্যালয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ক্যাম্প এলাকায় কর্মরত সংস্থাগুলো নিচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। শুরু হয়েছে সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

সোমবার (৬ জুন) বিকালে উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে বন্ধ হোক পলিথিনের ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে দুই দিনব্যাপী বিশেষ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শেষ হয়েছে। বিশেষ এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রান্তিক উন্নয়ন সোসাইটি।

কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ওব্যাট হেলপারসের অর্থায়নে প্রান্তিক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ৯টি লার্নিং সেন্টার, ওম্যান সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পলিথিন বর্জ্যমুক্ত করা হয়। বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর আঙিনায় লাগানো হয় গাছ। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসা রোহিঙ্গা সেবাগ্রহীতাদের পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ এবং পলিথিন বর্জ্য অপসারণে করণীয় নিয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অবগত করেন প্রান্তিকের বিভিন্ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংস্থাটির উখিয়া প্রকল্প কার্যালয়ের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বিশ্বাস অটল বলেন, ‘আরআরআরসি প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্প এলাকায় পলিথিনের ব্যবহার রোধে রোহিঙ্গাদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহার শুরু করেছি। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে গত ১৯ মে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্প এলাকায় ক্রমান্বয়ে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে কাগজ ও পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করার অনুরোধ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিন শপিং ব্যাগ এবং পলিথিনের তৈরি সামগ্রীর উৎপাদন, বিপণন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই ধরনের ব্যাগ ক্ষয় হয় না এবং পরিবেশের জন্য হুমকি।’পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না হলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরও ক্যাম্প এলাকার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ক্যাম্পে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় এই কার্যক্রম সফল হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, পলিথিন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন