অবৈধ দখলের কবলে রামুর বাঁকখালী নদীসহ ৩টি খাল : জরুরী হয়ে পড়েছে উচ্ছেদ ও ড্রেজিং

1111112211

খালেদ হোসেন টাপু, রামু :

সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের রামু বাঁকখালী নদীসহ ৩টি খাল। প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাঁকখালী নদীসহ সোনাইছড়ি, নন্দাখালী ও ঈদগড়-ঈদগাঁও খাল ড্রেজিং না করার কারণে ক্রমশ নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ভূমিদস্যু  নদী ও খালের জায়গা জুড়ে গড়ে তুলছে নানা স্থাপনা।

জানা গেছে, রামু উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭ টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে ৩৪ কিঃ মিঃ এর বিশাল বাঁকখালী নদীসহ জোয়ারিয়ানালা সোনাইছড়ি, নন্দাখালী নোনাছড়ি  ও ঈদগড়-ঈদগাঁও খাল প্রবাহিত হয়ে সাগরের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। কালের পরিক্রমায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে উজানী ঢল নেমে পলি মাটি জমে রামু বাঁকখালী নদীসহ এসব খালের তলদেশ ভরাট  হয়ে যায়।  শুকনো মৌসুমে ওই নদী ও খালগুলোতে ধান, সবজি ও তামাক চাষ হয়।  প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে নদীর দু’পাড় ভেঙ্গে যায়। তখন উজানি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জনসাধারনকে ভীষণ দূর্ভোগ পোহাতে হয়। 

গত বর্ষা মৌসুমে টানা প্রবল বর্ষনে বন্যার পানিতে রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম, ১১টি সড়কসহ ৫টি হাটবাজার প্লাবিত হয় এবং অসংখ্য বসতভিটা, ঘর বাড়ি, গ্রামীণ জনপদ, চিংড়ি ঘের, আবাদি জমি, পুকুর, বীজতলা, ব্রীজ, কালভার্ট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ ও সিসি ব্লক ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উল্লেখিত  নদী ও খালের দু’তীরে প্রায় ২ হাজার একর জমি দখল হয়ে গেছে। এতে পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি কমে যাচ্ছে মৎস্য সম্পদ। ব্যাহত হচ্ছে নৌ-চলাচল। নদীটি অস্থিত্ব সঙ্কটে পড়লেও রহস্যজনক কারণে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।  ইতিপূর্বে রামু ও কক্সবাজার শহরে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন বাঁকখালীর তীরে মানববন্ধন ও শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে নদী ও খালের ড্রেজিং ও দখলমুক্ত করে নদীর হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, নদীগুলোর ড্রেজিং না হলে রামু সদরসহ পুরো এলাকা ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা যাবে না এবং প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার মানুষকে পানি বন্দি থাকতে হবে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, নতুন করে এবছর রামু ও সদর উপজেলা মিলে ২২৫ কোটি টাকার ৫ ক্যাটাগরির একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন