অল্প রানের ম্যাচে ঘাম ঝরিয়ে জিতলো খুলনা

fec-image

টি-টোয়েন্টির হিসেবে একদমই মামুলি লক্ষ্য ছিল। ১২২ রান করতে হতো খুলনা টাইগার্সকে। তবে এই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও ঘাম ঝরেছে খুলনার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৪ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।

রান তাড়ায় নেমে ৩২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা। এভিন লুইস (৬ বলে ১২), এনামুল হক বিজয় (৮ বলে ৯), শাই হোপের (১১ বলে ৯) তারকারা সুবিধা করতে পারেননি।

তবে লো স্কোরিং উইকেট বুঝে ধীরগতিতে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ হোসেন আর মাহমুদুল হাসান জয়। আফিফ ২৮ বলে ২৬ করে আউট হন। ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারায় খুলনা। তবে জয় দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। ৪৪ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ৩৯ করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ম্যাচে উত্তেজনা সেভাবে ছড়ায়নি। ১৮.২ ওভারে রান তাড়া করে খুলনা।

চট্টগ্রামের আল আমিন হোসেন আর শহিদুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের স্বীকৃত ব্যাটাররা কিছুই করতে পারেননি। ৮০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারের শহিদুল ইসলামের ব্যাটে ১২১ রানের পুঁজি পায় শুভাগতহোমের দল।

মিরপুর শেরে বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অফস্পিনার নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণির মুখে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। স্রোতের বিপরীতে তানজিদ হাসান তামিম মারমুখী হতে গিয়েছিলেন। তবে ১৩ বলে ১৯ রান করে থামতে হয় তাকেও।

এরপর উইকেট শিকারের খেলায় যোগ দেন নাসুম আহমেদ, ওশানে থমাসরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা চট্টগ্রাম ইনিংসে মাঝে একটু থিতু হয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ২২ বলে ২৪ করে ফিরতে হয় তাকে।

একটা সময় ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। আভিষ্কা ফার্নান্ডো (৮), ইমরানুজ্জামান (০), শাহাদাত হোসেন দিপু (৬), অধিনায়ক শুভাগতহোম (২), কুর্তিস ক্যাম্ফারদের (৭) ব্যর্থতার পর লোয়ার অর্ডারের শহিদুল ইসলাম হাল ধরেন।

শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন আট নম্বরে নামা শহিদুল। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হন ৩১ বলে ৪০ রান করে। শহিদুলের ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কার মার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন