আগামী পাঁচ বছরে চকরিয়া-পেকুয়ার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের ধারা নিশ্চিত হবে: এমপি জাফর আলম

চকরিয়া প্রতিনিধি:

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানোন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে আগামী পাঁচ বছরে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাজানো হবে। লেখাপড়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করতে হবে। সেইজন্য অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীকে সজাগ ভূমিকা পালন করতে হবে।

চকরিয়ার ঐতিহ্যবাহী মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং পরিচালনা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম।

অনুষ্ঠারে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চকরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি রোস্তম শাহরিয়ার।

মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল চক্রবর্ত্তীর স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান (প্রাচ্য ভাষা) ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ও চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হোছাইন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাস্টার নুরুন্নবী, গিয়াস উদ্দিন, আতাহার ইকবাল, ইউপি সচিব নুরুল আলম, নুরুল হুদাসহ স্কুল কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য মেধানির্ভর শিক্ষার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছে। তাঁর সদিচ্ছার কারণে আজ শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব ধরণের কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছেন। উন্নয়নের এই ধারা চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিত করা হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে। নিজেকে আগামীর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন