আবর্জনার ফেলার বিষয়ে বান্দরবান পৌর মেয়রের জিরো টলারেন্স ঘোষণা
বান্দরবান পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন মেয়র মো. শামসুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ময়লা আর্বজনার বিষয় জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তিনি।
পৌরসভা সূত্র জানায়, লোকজন পৌর আইন না মেনে রাস্তার ধারে এবং যত্রতত্রে ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে রেখেছে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হয়ে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন চালক ও মালিকরা রাস্তার ধারে দিনের পর দিন গাড়ি পার্কিং করে চলে যায়। এতে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলালে বিঘ্ন ঘটছে। এসবের বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে একটি দল রোয়াংছড়ি স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, কালাঘাটা, বালাঘাটা ও হাফেজ ঘোনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রথম দিনে কারো বিরুদ্ধে মামলা বা জরিমানা না করলেও সবাইকে সর্তক করে প্রথম বারের মত সুযোগ দেয়া হয়েছে। এসময় রাস্তার পাশ থেকে ময়লার স্তুপ ও গাড়ি সরিয়ে নিতে দুই দিনের সময় বেঁধে দেয় মেয়র। এছাড়াও বন্যা পরবর্তী সময় বিভিন্ন ওয়ার্ড পৌর সভার উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিছন্ন কর্মকান্ড পরির্দশন করে তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কতিপয় ব্যক্তি পৌর সভার ময়লা আবর্জনার ডাম্পিং স্টেশন থেকে কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার ও বোতল জাতীয় জিনস কুড়িয়ে এনে বিক্রি করার জন্য রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন, হাফেজ ঘোনা ও বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তার ধারে এবং যত্রতত্রে মজুদ করে রাখে। এসব ময়লা যুক্ত মালামাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হয়ে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মশা মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয়রা মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম জানান, একটি সুন্দর পরিবেশে পৌর শহর গড়তে হলে সুশৃঙ্খল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই। পৌর এলাকায় অসাবধানতার কারণে মানুষ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও ডায়রিয়া সহ নানান রোগে ভুগছে। এসব প্রাণঘাতি রোগ থেকে বাচঁতে হলে ঘরের আশপাশ ও রাস্তা ঘাট, নালা নর্দমা পরিষ্কার রাখতে হবে। তিনি আরো জানান, পৌর এলাকায় প্রথম দিনের অভিযানে প্রথম বারের মত সর্তক করা হয়েছে। এর পর আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সবার সহযোগীতায় একটি আধুনিক ও পরিষ্কার-পরিছন্ন পৌর সভক গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।