আলীকদমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া

Alikadam Bazar news_Alikadam_Bandarban

আলীকদম প্রতিনিধি:

রমজন শুরু হতে না হতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন হয়ে উঠেছে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায়। আলীকদম বাজারসহ আশেপাশে বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য আকাশ ছুঁয়া দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণ রাখা, বাজার পরিষ্কার, ফরমালিন ও গ্যাস মুক্ত মাছ বিক্রয় ইত্যাদি বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও তাদের এমরন কোন কার্যক্রম চোখে পরেনি।

আলীকদম উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্লোল কুমার সেনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা দ্রুতই উপজেলার বাজারগুলোতে কাজ করবে। রমজানে বেপরোয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। বর্তমানে সকল পণ্যের আমদানি ও মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও একজন পুলিশ সদস্য।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারি কোন কমিটি এ পর্যন্ত বাজার আসেনি। দেখা যায়নি প্রশাসনের কোন কর্তাব্যক্তিকেও। অসৎ ব্যবসায়ী মজুদদার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। রমজানকে পুঁজি করে ক্রেতাসাধারণ ঠকলেও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

মাছ বাজারে গিয়ে মাছ না পেয়ে আসলেন মুরগীর বাজারে কিন্তু ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মুরগী ১৬০ টাকা দেখে অবশেষে শুণ্য হাতে ফিরতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন ভোক্তাকে। এছাড়া রমজানে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেয়াজ ২২ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, চিনি ৬৪ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, গরুর মাংশ ৫০০ টাকা, দেশী মুরগী ৩২০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও পূঁজিবাদি ব্যবসায়ীরা বাজারে পণ্যের স্বল্পতার অজুহাতে এসব পণ্যে দাম বাড়িয়ে চলেছে। বর্তমান অবস্থায় দেশে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় ভাগ্যপণ্যের ঘাটতির কোন আলামত না থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কাছে এখন ক্রেতারা হার মানতে বাধ্য হচ্ছেন।

কয়েক জন ক্রেতা জানালেন, গত এক সপ্তাহ আগে যে দাম ছিল এখন প্রায় প্রত্যেকটি পণ্যের দাম তার দ্বীগুণ। প্রশাসন চুপচাপ কেউ কিছু বলে না। আমরা সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। সারা দিনে আয় করি ৩০০ টাকা। আমাদের দ্বারা ৫০০ টাকায় গরুর মাংস ৩০০ টাকায় মুরগীর মাংস খাওয়া সম্ভব না। তাই এখন অনেকটা আমিষ মুক্ত খাবার খেতে হচ্ছে আমাদের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন