ঈদগাঁওয়ে কুকুরে কামড়ানো ছাগলের মাংস বিক্রি
কক্সবাজার সদরে কুকুরে কামড়ানো ছাগলের মাংস বিক্রির সাথে জড়িত থাকার দায়ে তিন জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করেছে ঈদগাঁও পুলিশ। পরে দোষ স্বীকার করায় আসামীদের ১ মাসের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত রাত ৮টার দিকে ঈদগাঁও বাজারে মাংস বিক্রি শুরু করলে তাদের আটক করে পুলিশ।
সাজা প্রাপ্তরা হলো- ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়নেরপাড (তেলিপাড়া) সওদাগর পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নুর ছিদ্দিক, আমির হোছনের ছেলে উসমান ও জাফর আলমের ছেলে এহছানুল হক।
ঈদগাঁও পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আছাদুজ্জান জানান, গোপণ সংবাদে পুলিশ জানতে পারে আসামীরা পার্শ্ববর্তী পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী থেকে নামে মাত্র মূল্য দিয়ে কুকুরের কামড়ানো আহত দুই ছাগল ক্রয় করে গোপণে জবাই করে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে ঈদগাঁও বাজারে মাংস বিক্রি শুরু করে। এ সংবাদে তার নির্দেশে এএসআই নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাংসসহ তিন প্রতারক কসাইকে আটক করে। পরদিন শুক্রবার (২৪ মে) ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করলে সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার মুক্তারের ভ্রাম্যমান আদালতে দোষ স্বীকার করায় তিন কসাইকে ১ মাস করে জেল দেওয়া হয়।
সচেতন ঈদগাঁওবাসীর অভিযোগ, এ কসাই চক্র বছরের পর বছর ধরে এলাকাভিত্তিক দালালের যোগসাজশে মৃত, অসুস্থ গরু-ছাগল নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করে গোপণে জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যময় কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়নি এ যাবত। তাই অসাধু চক্রটি দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে কুকুরে কামড়ানো ছাগলের মাংস বিক্রির মতো দু:সাহস দেখানোর অপচেষ্টা করেছে। দেরিতে হলেও পুলিশ এ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও কসাইদের সাজা দেখায় সাধারণ জনগণ পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আবার অনেকে এ ঘটনাকে কসাইদের কোন্দল বলেও চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানা গেছে।