ঈদগাঁও বাজারে শত বছরের শেড’র জায়গা রক্ষার দাবিতে ছয়শতাধিক ব্যবসায়ী আন্দোলনে

fec-image

কক্সবাজার তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাত ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও বাজারের শত বছরের মাছের শেড’র জায়গা রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বাজারের ছয়শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে তারা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট ঐতিহ্যবাহী এ শেডটি দখলদারদের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে মাঠে নেমেছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটাই মাছ ব্যবসায়ীরা দখল ষড়যন্ত্রের শিকার শত বছরের মাছের শেড’র জায়গার উপর দাড়িয়ে দখলদারদের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের জায়গাটি রক্ষার আন্দোলনের ডাক দেন। ওই সময় ক্ষুদ্ধ মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শওকত আলম, আবদু রাজ্জাক রুবেল, জহিরুল ইসলাম, মো: বাবুল,আবদুল কাদের, আবু তাহের, বদিউল আলম, আবদুল জব্বার,জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

তারা বলেন, তাদের বাপ, দাদার সময় তথা শত বছর ধরে উক্ত জায়গার উপর সরকারি টিউবওয়েল, গণশৌচাগারসহ সরকার নির্মিত আরো পাকা স্থাপনা স্কুলের বাউন্ডারি দেয়ালের সাথে লাগানো ছিল এবং সাথে ছিল মাছের শেড। কিন্তু সরকার যখন জরাজীর্ণ এ মাছ মাংসের বাজারের শেড’র জায়গার উপর সম্প্রতি অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে আগের ব্যবহার অযোগ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পরে নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিকাদার প্রতিষ্ঠান জায়গার চারদিকে টিনের ঘেরাও দেয়। টিকাদার প্রতিষ্ঠান ভবনের পাইলিং কাজও শুরু করে। ইত্যবসরে একটি পক্ষ শত বছরের মাছের শেড’র পূর্বাংশের জায়গার মালিকানা দাবি করে তাতে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। যা সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে নড়েচড়ে বসে বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা।

তারা আরো বলেন, ঈদগাঁও বাজারের পাঁচ সহস্রাধিক বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সর্বসাধারণের দাবি শত বছর ধরে উক্ত শেড’র জায়গার উপর মাছ মাংস বিক্রি করে তারা সরকারকে কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছে। সরকারি এ জায়গাটি যদি এত যুগ পরে ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে থাকে, তাহলে তারা সরকারকে যে রাজস্ব দিয়েছে তা কি অবৈধ ছিল? সরকারি শেড’র জায়গার উপর অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণে যে প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্ব পেয়েছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের ঘেরাওয়ের ভেতরে কি ভাবে দখলদাররা প্রকাশ্য দিবালোকে কিংবা রাতের আধাঁরে নির্বিঘ্নে কাজ করল এ নিয়ে টিকাদার প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরও দখলদারদের সাথে যোগসাজশ থাকতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল। নয়তো কিভাবে নির্মাণ কাজ পরিচালনায় দায়িত্বরত ব্যক্তি রহস্যজনকভাবে চুপ করে আছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে সরকারি ভবন কাজ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রত্যাহারে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের নিকট জোর দাবি জানান।

অপরদিকে কোটি টাকা মূল্যের শত বছরের মাছের শেড’র জায়গাটি রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যতায় মাছ ব্যবসায়ীরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন। এদিকে মাছ ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের সাথে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ী, সচেতন লোকজন ও সর্ব সাধারণকে একাত্মতা পোষণ করতে দেখা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন