বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের কোমরে দঁড়ি

পেকুয়া থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হামিম মোহাম্মদ ফাহিমকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে পাঠানোর ঘটনায় পেকুয়া থানা ওসি ও আটককারী কর্মকর্তা এএসআই রইস উদ্দিনকে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক জাহিদ হোসাইন এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, আসামি হামিম মোহাম্মদ ফাহিমকে কোমরে দঁড়ি বেঁধে আদালতের পাঠানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের বিষয়টি আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতের গোচরীভূত হয়। এ বিষয়ে তারা আদালতের আইনানুগ আদেশ প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।

হামিম মোহাম্মদ ফাহিমের মা হুরে জান্নাত বলেন, আমার ছেলে চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি বাড়ির পাশে একটি কোচিং সেন্টার চালায় সে। প্রতিবেশীদের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়ায় আমার পরিবার। এর জেরে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে সমন গোপন করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করানো হয়। সেই ওয়ারেন্টে আমার ছেলেকে মাঝরাতে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর আদালতে পাঠানোর সময় কোমরে দঁড়ি বেঁধে হেয়প্রতিপন্ন করে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে আমার ছেলের মানহানি হয়েছে। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আদালত, পুলিশ কর্মকর্তা, পেকুয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন