“শেখ আবু আব্দুল্লাহ নামের এক মিশরীয় নাগরিক নগদ অর্থ বিতরণের উদ্দেশ্যে মৌলভী লোকমানের ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নেয়।”

উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে করে বসবাস করছে মিশরীয় নাগরিক

fec-image

উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করে গত ১ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে এক মিশরীয় নাগরিক। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যান্তরে পলিথিনের ঝুপড়িতে একজন বিদেশী কিভাবে অবস্থান নিয়ে থাকতে পারে এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসি ও সাধারণ রোহিঙ্গারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

সরজমিন লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে,  ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের রাখাইন এলাকার মৌলভী লোকমান ও তার পরিবার। রোহিঙ্গাদের সহায়তা তখন দেশি-বিদেশী লোকজন ক্যাম্পে আসে। ওই সময় শেখ আবু আব্দুল্লাহ নামের এক মিশরীয় নাগরিক নগদ অর্থ বিতরণের উদ্দেশ্যে মৌলভী লোকমানের ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নেয়। এই সুবাধে তার মেয়ের প্রতি কু-দৃষ্টি পড়ে ওই মিশরীয় নাগরিকের। পরে মেয়ের পিতা মৌলভী লোকমানকে বস করে মেয়েটিকে বিয়ে করে আব্দুল্লাহ। সেই থেকে অদ্যবধি ক্যাম্পে অভ্যান্তরে ওই মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছে শেখ আবু আব্দুল্লাহ নামের এই ব্যক্তি।

অভিযোগ উঠেছে, রাতে তার ঝুপড়ি ঘরে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। যা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে দেখা দেয় প্রশ্ন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় লোকজন জানান, বিকেল ৫টার পর থেকে কোন প্রকার বহিরাগত লোকজন ক্যাম্পের ভিতরে অবস্থান না করার জন্য প্রশাসনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এই বিদেশী নাগরিক কিভাবে রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে করে ক্যাম্পের অভ্যান্তরে গত ২ বছর যাবৎ রয়েছে।

সুত্র জানায়, কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের শেড মাঝি নজিবুল্লাহ, মৌলভী তাহের, মৌলভী লোকমান, মৌলভী খলিল ও মৌলভী তাহা’র সাথে যোগসাজস রয়েছে রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আলেকিনের সাথে। মৌলভী লোকমানের মেয়ে বিয়ে করে ওই বিদেশী নাগরিক আব্দুল্লাহ গড়ে তুলে আলেকিনের সাথে একটি গভীর সম্পর্ক। যার কারণে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের অভ্যান্তরে বিদেশী নাগরিক হয়েও বসাবস করে আসছে। তাছাড়া শেখ আবু আব্দুল্লাহ বিদেশ থেকে অর্থ এনে এসব ব্যক্তিদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নিকট বিতরণ করে থাকেন। যাহা খতিয়ে দেখলে বেরিয়ে আসবে বলে জানান স্থানীয়রা।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, কোন বিদেশী নাগরিক ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাস করার সুযোগ নেই। যদি এ ধরনের হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে, মিশরীয় নাগরিক, রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন