উখিয়ায় রোহিঙ্গা ভিক্ষুক : অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

fec-image

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে গেছে উখিয়ার সর্বত্র। এসব রোহিঙ্গা ভিক্ষুক নারী-পুরুষ ও শিশুর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিরা। ভিক্ষুকদের দেখে বিরক্ত বোধ করছেন স্থানীয় ও মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লিগণ। বিশেষ করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর উখিয়ার প্রতিটি মসজিদের সামনে লাইন ধরে হাত পাতছে অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু ভিক্ষুক।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার (২০ নভেম্বর) উখিয়া ষ্টেশন জামে মসজিদের সামনে অসংখ্য রোহিঙ্গা ভিক্ষুকদের দেখা যায়।তারা মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লিদের ঘিরে ধরে হাত পাতছে, পাশাপাশি মসজিদ থেকে বের হতে পারেনা গেইটে অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু ভিক্ষুকের ভিড়ের কারণে।এভাবে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোহিঙ্গা ভিক্ষুকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গাদের সরকারিভাবে সাহায্য দিলেও বাড়তি রোজগারের জন্য তারা ক্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে, যেটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ সস্তায় দিনমজুর, ফিশিং ট্রলার, হোটেল, রেস্তোঁরা, বিভিন্ন যানবাহনে ও বাসাবাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ভিক্ষা করে আসছে। অনেকে আবার জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। শুক্রবার উখিয়ার ষ্টেশন জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ভিক্ষা করছিলেন অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা। না প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী ভিক্ষুক জানান, বাড়িতে রোজগারের কেউ না থাকায় ভিক্ষা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। বয়োবৃদ্ধ রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, পুত্রবধূ হাফছা বেগম ও তিন নাতিকে নিয়ে ভিক্ষা করে কোন রকম সংসার চালিয়ে আসছি।

সম্প্রতি টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে উখিয়ার কুতুপালং বস্তিতে আত্নীয়দের মাধ্যমে আশ্রয় নেয়।ষাটোর্ধ রোহিঙ্গা আলী আকবর বলেন, আমার কোন পুত-পিতা (পিতা-পুত্র) নেই। বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে এক মাস আগে পালংখালী ক্যাম্প থেকে বালুখালী ক্যাম্পে এসেছি। স্বজনরা কয়েকদিন পেট ভরে খাবার দিয়েছে। বর্তমানে তাদেরও অবস্থা ভাল নয়। এজন্য ক্ষুধার জ্বালায় ভিক্ষা করতে বেরিয়ে পড়েছি।

উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেরর সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেখানে নিজেদের টাকায় দেশের ৯০ ভাগ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হচ্ছে, নিজের পায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে দেশ। সেখানে রোহিঙ্গা ভিক্ষুক, অন্যান্য রোহিঙ্গারা বসবাস করে স্থানীয় হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন