এক্স-রে মেশিন পেল কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

fec-image

অবশেষে এক্স-রে মেশিন পেল কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মঙ্গলবার ( ২ মার্চ) হাসপাতালে সরকারিভাবে এক্স-রে মেশিনসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম এসে পৌঁছেছে।

দ্বীপ উপজেলায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি একমাত্র হাসপাতালটিতে নেই এক্স-রে করার সুবিধা। বিদ্যুৎবিহীন দ্বীপে প্র্ইাভেট হাসপতাল বা ক্লিনিক গড়ে না ওঠায় জরুরী প্রয়োজনেও এক্স-রের জন্য যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতালে। তবে এর আগে বেসরকারি অনুদানে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন মেলায় এ সুবিধা কিছুটা হলেও পাচ্ছে রোগীরা।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান ও অপর একজন মহিলা চিকিৎসক প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সময়ে আল্ট্রাসনো রিপোর্ট করছেন। এতে অবশ্য জেনারেটর দ্বারা পরিচালিত বিদ্যুৎ খরচ পড়ছে বেশি।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উপজেলায় সামান্য আঘাত বা ভাঙায় এক্স-রে করার সুবিধা নাই। এখন এলো এক্স-রে মেশিন। তবে এটি অপটারেটিং করতে রেডিওগ্রাফার নেই। নেই রিপোর্ট করতে রেডিওলজিস্ট। অন্তত ১৫ বছর আগে একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) দেয়া হয়েছিল। তখন ছিলনা এক্স-রে মেশিন। এখন দেয়া হয়েছে এক্স-রে মেশিন। এটি পরিচালনায় একজন রেডিওগ্রাফার দেয়াও জরুরী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অবহেলিত দ্বীপের মানুষের চিকিৎসা সেবা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে এক্স-রে মেশিন চালু হলে। বেসরকারি অনুদানে আল্ট্রাসনো মেশিন চালু আছে। এ ছাড়াও আরো একটি নতুন আল্ট্রাসনো মেশিন দেয়া হয়েছে কিছুদিন পুর্বে। এবার এসেছে কাঙ্ক্ষিত এক্স-রে মোিশন। এটি সেটিং করতে সংশ্লিস্ট ইঞ্জিনিয়ার আসবেন। একজন দক্ষ রেডিওগ্রাফার লাগবে। আশা করি এ পদটিও উর্ধ্বতন কৃর্তৃপক্ষ শীঘ্রই পুরণ করবেন। ১৬ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর রয়েছে। এটি দিয়েও চালানো সম্ভব বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন