ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উৎসবে রঙিন হবে রাজস্থলীর আকাশ
পাহাড়ে বসবাসরত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে আজ।
মারমারা বলেন, ওয়াগ্যোয়াই অর্থ হল উপবাসের ইতিটানা। অন্য সম্প্রদায়রা, ওয়াহ, বলে থাকেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আষাঢ়ী পূণিমা শুরু থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাব্রত ( উপবাস) থাকার পর ধর্মীয় গুরুদের সম্মানে এ উৎসব পালন করে থাকেন।
বৌদ্ধদের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা, বড়ুয়া, চাকমা এ উৎসব পালন করে থাকেন। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে সেজেছে নতুন সাজে। চলছে আনন্দ উল্লাসের বন্যা। পাশাপাশি বাজার গুলোতে বেচাবিক্রির ধুম পড়েছে। ফানুসে রঙিন হবে রাতের আকাশ।
অপর দিকে উৎসব আরো বেশি উৎসাহ উদ্দীপনায় পালনের জন্য উপজেলার প্রতিটি বিহারে সরকারি আর্থিক রাজস্থলী উপজেলার ৫৩ বিহারে অনুদান প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হেলাল।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। রবিবার (৯ অক্টোবর) ভোরে ছোয়াইং দানের পর রাতের বেলায় শুরু হবে ফানুস উড়ানো।
বিশাল আকৃতির ফানুস বাতি আকাশে উড়ানোর দৃশ্য দেখার জন্য বিভিন্ন ধর্মের লোক ভীড় জমিয়ে থাকেন। উৎসবের দিন গুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে ফানুস উড়ানো শুরু হয়। এ জন্য স্থানীয় ক্যাং ও বৌদ্ধ বিহার গুলো সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। ছোট ছোট শিশু কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা নতুন পোশাক পরিধান করে এ দিন গুলো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াবে সহপাঠিদের সাথে।
বিশেষ করে রাজস্থলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে, বাঙালহালিয়া, গাইন্দ্যা ও ঘিলাছড়ির বিহার গুলোতে জাঁকজমকভাবে এ উৎসব পালন করবে বলে জানা গেছে। বিহারে বিহারে ভিক্ষুরা দায়ক-দায়িকার উদ্দেশ্য ধর্মদেশনা ও পঞ্চশীলের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।
এ বিষয়ে রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা থানার ওসি জাকির হোসেন ও ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ক্ষুদ্র- নৃ গোষ্ঠীর সম্প্রদায়গণ ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উৎসব যেন নির্বিঘ্নে পালন করতে সেজন্য উপজেলার প্রতিটি ক্যাং বৌদ্ধ বিহার গুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালন করতে পারবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।