কক্সবাজারে ইয়াবা মামলায় রোহিঙ্গা পিতা-পুত্রের ১০ বছরের কারাদণ্ড
উখিয়ায় আসামির বসতঘর থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় রোহিঙ্গা পিতা-পুত্রের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) এসটি মামলা নং-১৭৭৭/২২ শুনানী শেষে এ রায় ঘোষনা করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন, উখিয়ার পালংখালী থাইংখালী ক্যাম্প-১৯, রক ডি/৩ এর বাসিন্দা মৃত জাহিদ হোসাইনের ছেলে কলিম উল্লাহ ও কলিম উল্লাহর ছেলে কেফায়েত উল্লাহ। রায় ঘোষণাকালে তারা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এম এ বারী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম।
জেলা নাজির বেদারুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাক্ষ্যকালে আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাছাড়া বয়সের কারণে মানবিক দিক বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে লঘুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
এ সময় পিপি ফরিদুল আলম জানান, ২০২১ সালের ৫ আগস্ট কলিম উল্লাহর বসতঘর থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-১৫।
এ ঘটনায় টেকনাফ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আলা উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। যার জি.আর-৫৮৮/২০২১, উখিয়া থানার মামলা নং-১৭।
২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কুমার দাস। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
পিপি আরও জানান, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬ (১) ধারার সারণির ১০(খ) ক্রমিক বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে পিতা-পুত্রের প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক।
এ রায় মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ‘যুগান্তকারী’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম।