কক্সবাজারে জনপ্রতিনিধির সহায়তায় ভোটার হচ্ছে রোহিঙ্গারা, আবেদন ফরম জব্দ

fec-image

কক্সবাজারে চলমান ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের নাম, পিতা-মাতা, এমনকি ঠিকানা পাল্টিয়ে রোহিঙ্গারা কৌশলে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে কাজটি সারছে তারা।

যেখানে প্রকৃত বাংলাদেশী জনগণ ভোটার হতে হিমশিম খাচ্ছে; প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ভোগান্তি পোহায় দিনের পর দিন, সেখানে রোহিঙ্গারা কীভাবে ভোটার হচ্ছে? তা ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে কক্সবাজার সদর নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকাভুক্তির ছবি তুলতে গিয়েই আবদুল মানিক নামক একজন রোহিঙ্গার আবেদন ফরম জব্দ করেছেন সদর নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা। যদিওবা সে নূর হোসেন নামে ফরমটি পূরণ করেছে।

তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ফরমটি জব্দ করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে, জনপ্রতিনিধিসহ প্রয়োজনীয় সবার স্বাক্ষর ও এতগুলো কাগজপত্র কীভাবে জোগাড় করল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই নির্বাচন কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত মানিক কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ৬ নং ওয়ার্ডের ভিলেজার পাড়ার বাসিন্দা মরহুম শামসুল আলমের ছেলে। পেশায় সিএনজি চালক। তার পরিবারের পাঁচ ভাই ১ বোনের সবাই রোহিঙ্গা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন বলেন, স্মার্ট কার্ড বা আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়া আমরা কাউকে তো স্বাক্ষর করিনা। রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে সহায়তা করার প্রশ্নই আসে না। কেউ জালিয়াতি করে থাকলে শাস্তি হওয়া দরকার।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, ভালো করে একটা নিউজ করে দেন। প্রচার হওয়া দরকার।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, জনপ্রতিনিধি, ভোটার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন