কক্সবাজারে পাহাড় ও ছড়া দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান

fec-image

কক্সবাজার শহরের বাইপাস সড়কের জেলগেইট এলাকায় পাহাড় কেটে শত শত বছরের পুরনো ছড়া ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার (২৫ মে) বিকালে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর পক্ষ থেকে পাহাড় কেটে ছড়া ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, শত শত বছরের পুরনো ছড়াটি কেউ পাহাড় কেটে মাটি ফেলে আবার কেউ সীমানা পিলার দিয়ে দখল করে সংকুচিত করে ফেলেছেন। এতে পানি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে জামাল উদ্দিন বাবুল, রিয়াদ, হামিদ, ভুলু, খসরু, নাজিম উদ্দীন, ফরহাদ সহ ৮ থেকে ৯ জন ব্যক্তি ছড়াটি বিভিন্ন কায়দায় দখল অব্যাহত রেখেছেন বলে এলাকাবাসী জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াদ জানান, ভুলু, হামিদ সহ কয়েকজন ব্যক্তি পাহাড় কেটে মাটি ফেলে কৌশলে দীর্ঘদিনের ছড়াটি ভরাট করে ফেলছেন। অপরদিকে ভুলু জানান, রিয়াদসহ কয়েকজন মিলে পানি চলাচলের ছড়ার মধ্যে সীমানা খুঁটি দিয়ে ছড়া দখল করেছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস জানান, ২৫ থেকে ৩০ ফুট প্রস্থের ছড়াটি কিছু কিছু অংশে এখন মাত্র ৫ ফুট অবশিষ্ট আছে। সেখানে গত এক মাস ধরে বাবুল নামের এক ব্যক্তি পাহাড় কেটে মাটি ফেলে ছড়াটি ভরাট করে পাকা দালান নির্মাণ করছেন। তাকে বাধা দিলেও তিনি তা আমলে নিচ্ছে না বলে জানান তিনি।

পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর দুই দফা পরিদর্শন করে পাহাড় কেটে মাটি ফেলে ছড়া ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, বস্তা ফেলে, সীমানা খুঁটি ও সীমানা প্রাচীর দিয়ে ছড়া দখলের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়। এভাবে পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান জানান, পাহাড় কেটে ও ছড়া দখল করে নির্মিত কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচা বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাকা স্থাপনাগুলো ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ছড়া, পাহাড়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন