কক্সবাজারে ফার্নিচার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি অর্ধ কোটি টাকা

fec-image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটা ফার্নিচার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ৫ দোকানঘর ও মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমকিভাবে ব্যবসায়ীরা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে।

ঈদগাঁও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২ টা’র দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিছুক্ষণের  মধ্যেই ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এবং রেললাইন নির্মাণে নিয়োজিত পানিবাহী গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে গতি পায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হচ্ছে শাহজাহান ফার্নিচার মার্ট, দিদার ফার্নিচার মার্ট, হাজী নুর আহমদ ফার্নিচার গ্যালারি, আবছার ফার্নিচার মার্ট এবং চাঁন মিয়ার ফার্নিচারের দোকান।

ফার্নিচার ব্যাবসায়ী আবুল কাশেম জানান, বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী ও রেলওয়ের পানি সার্ভিস না পলেে পুরো ফার্নিচার মার্কেট জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে যেত।

 

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস যতক্ষণে পৌছে, এর আগেই অনেকটা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছলেও বাজারের দু’পাশের খালি জায়গা বেদখল হয়ে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় পৌঁছামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। তবে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ঈদগাঁও থানা থেকে ৩০ কি.মি. দূরত্বে হওয়ায় পৌছতে অনেক দেরি হয়ে যায়। দমকল বাহিনী পৌছার  পূর্বেই প্রতিবছর সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ঈদগাঁও থানাধীন বিশাল জনগোষ্ঠী বছরের পর বছর ঈদগাঁতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসলেও নেতারা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কাজের কাজ কিছুই হয়না।  প্রতিবছর চােখের সামনে পুড়ে যাচ্ছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি।

তাই সাধারণ জনগণ জানান, কোন অগ্নিকান্ড ঘটলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থদের  সমবেদনা জানাতে এসে জনক্ষোভ প্রশমনে শীঘ্রই ফায়ার স্টেশন নির্মাণের আশ্বাসের ফুলঝুরি দেন।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশাল বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে ছোট বড় প্রায় চার হাজার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এত বড় বাণিজ্যিক শহর এবং ঈদগাঁও থানাধীন পুরো এলাকার জন্য নেই কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। কোন অগ্নিকাণ্ড হলে ৩০ কিলোমিটার দূরের কক্সবাজার শহর থেকে দমকল বাহিনী পৌছার পূর্বেই যুগের পর যুগ ধরে সব কিছু জ্বলে পুড়ে চরম ক্ষতির শিকার হয়ে আসছে জনপদের বাসিন্দারা।

তাই তারা অবিলম্বে অত্র এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রতিষ্ঠা করতে সরকার ও অত্র আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ দপ্তরে কর্মরত এলাকার কৃতি সন্তানদের আন্তরিক প্রচেষ্টা কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অর্ধ কোটি টাকা, কক্সবাজারে ফার্নিচার মার্কেট, ক্ষয়ক্ষতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন