কক্সবাজারে ২ হাজার ফ্রি-ল্যান্সার তৈরী করা হবে: জুনায়েদ পলক
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
“আমরা হবো জয়ী-আমরা দূর্বার, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি হবে হাতিয়ার” এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আইসিটি ডিভিশনের “লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট” এর আওতায় কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলা। মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি। উদ্বোধন উপলক্ষে কক্সবাজার শহরের বিয়াম অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ফ্রি-ল্যান্সিং দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক চাকা শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি বলেন, বেকারত্বকে পেছনে ফেলে ই-কমার্স, ই-শপ ইত্যাদি দিয়ে আমরা আয় করতে চাই। দুই মাসের মধ্যে কক্সবাজার থেকে ২০০জন ফ্রি-ল্যান্সার তৈরী হবে। পর্যায়ক্রমে তা অন্তত ২ হাজারে পৌঁছবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ জীবন ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। অনেকে বিদেশে কায়িক শ্রম করে দেশে পাঠায়। অতিরিক্ত শারিরীক শ্রম বিসর্জণ দিয়ে এখন আর আয় করতে হবে না। একটু মেধা খাটালেই ঘরে বসে আয়-রোজগার সম্ভব। সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে আমরা সফলতাও পাচ্ছি। সবাইকে সঙ্গি করে আমরা পরিপূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাই। এছাড়া রামুতে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-০৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশকে ডিজিটাল করার দৃঢ় শপথ নিয়ে এগিয়ে চলছে। কক্সবাজার যতটুকু এগিয়ে গেছে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। তিনি তরুণদের লার্নিং এন্ড আর্নিং-এ এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর তপন কুমারনাথ ।
সভায় কক্সবাজারের ৩ জন সেরা ফ্রি-ল্যান্সারকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসাইন শাকিল, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। পুরস্কার হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক নিজ হাতে প্রত্যেককে একটি ল্যাপটপ তুলে দেন।
মেলায় আউট সোর্সিং ও ফ্রী ল্যান্সিং সম্পর্কিত ৪০টিরও বেশী স্থানীয় আইটি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী ছিলো।