করোনার ছুটিতেও মিয়ানমার থেকে ৮১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও আদা আমদানি

fec-image

করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সাধারণ ছুটির মাঝেও মিয়ানমার থেকে ৮১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও আদা আমদানি করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে। তবে দুই ঘন্টার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকও চালু রাখা হয়।

আমদানি প্রসঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ কান্তি বড়ুয়া জানান- নিত্যপণ্য আমদানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে বাণিজ্য চালু রাখা হয়েছে। ফলে এই দুইদিনে ৭৭৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৩৩ মেট্রিক টন আদা আমদানি হয়েছে। এসব পণ্য কার্যক্রম শেষে সরবরাহ করা হয়।

শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ২৪৫ দশমিক ২৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়াও ৫৩২ দশমিক ৬১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৩৩ মেট্রিক টন আদা আমদানি করা হয়। এসব পণ্য বিশেষ ব্যবস্থায় অল্পসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে খালাস ও দ্রুত সরবরাহ ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় হিমায়িত মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা আমদানি করতে সীমিত আকারে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। দেশে যেন নিত্যপণ্যে সংকট সৃষ্টি না হয় সে জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন- ‘সরকারের নির্দেশনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে সীমিত আকারে বন্দর চালু রাখা হয়। শুধুমাত্র পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও হিমায়িত মাছ আমদানি করা হবে। গত দুইদিনে পেঁয়াজ ও আদা আমদানি হয়েছে, তা দ্রুত খালাস ও সরবরাহ করা হয়েছে।

এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। এই ভাইরাস বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এই সাধারণ ছুটিতে জনসাধারণকে ঘরে থাকার জন্য বলা হয়। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাতধোয়া, হাঁশি বা কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা এবং অযথা কোন কাজ না থাকলে ঘরের বাইরে না যাওযার জন্য বলা হচ্ছে।

গত কয়েকদিনে সাধারণ ছুটিতে জনগণের মাঝে করোনা নিয়ে সচেতনতা দেখা দিয়েছে। জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে সেনা, নৌ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। যার ফলে সড়কগুলো ফাঁকা, বাজারগুলোতে লোক সমাগমও কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে কর্মহীন কিছু মানুষকে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাইরে আসতে দেখা যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন