কাপ্তাইে ৭ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বাড়ি

fec-image

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ডিজাইনের ৭টি ঘর পেয়েছে ৭টি ক্ষু-নৃগোষ্ঠীর অসহায় পরিবার। ঘর উপহার পাওয়ার আনন্দে আপ্লুত পরিবারগুলো।

ঘর উপহার পাওয়া কাপ্তাই ওয়াগ্গা ইউনিয়নের দেবতাছড়ির বাসিন্দা রতন তঞ্চঙ্গ্যা ও বড়ইছড়ি পাড়ার সুইচাপ্রু মারমা জানান, একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে কতই না কষ্ট করে তাদের ঘরে বসবাস করতে হতো। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকতোনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সংগ্রাম করে পরিবার নিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নতুন ঘর উপহার পেয়ে সেইসব কষ্ট, দুর্ভোগের দিন শেষ হয়েছে।

তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে জানান,  প্রধানমন্ত্রীর জন্যই তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। তারা প্রত্যকে নতুন ঘরে থাকার আনন্দ উপভোগ করছে এবং সেইসাথে তাদের সকলের সব দুঃখ কষ্টের লাঘব হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান গত ১ ডিসেম্বর কাপ্তাইের ওয়াগ্গা দেবতাছড়ি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পাওয়া রতন তঞ্চঙ্গ্যা এবং বড়ইছড়ির সুইচাপ্রু মারমার নতুন বাসা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন ঘর উপহার পাওয়ার খুশীতে তারা সকলেই তাদের নতুন ঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নতুন ছবি টানিয়েছে। সেইসাথে তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এইসময় কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান পার্বত্যনিউজকে জানান, পাথুরে পাহাড়ি ঝর্ণাধারা বেয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ৭০ ফুট উপরে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে উপহার পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘর গুলো যখন পরিদর্শনে যান তখন তিনি সেইসব অসহায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার গুলোর চোখে মুখে হাসি দেখে লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার কষ্ট গুলো ভুলে যান। পার্বত্য অঞ্চলের গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের জন্য বিশেষ ডিজাইনের ঘর গুলো পেয়ে পরিববারগুলো আনন্দে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে কাপ্তাইের চন্দ্রঘোনা, রাইখালী, চিৎমরম ইউনিয়নে ১টি করে এবং কাপ্তাই ও ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ২টি করে মোট ৭টি ঘর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারস্বরূপ ৭টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী অসহায় পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬ শত ৪৪ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন