কালারমারছড়ায় ৭টি বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭টি বাড়ি সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে। পুরো গ্রামকে আগুন থেকে বাঁচাতে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে পাশের আরো কয়েকটি বাড়ি, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা। এসময় ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারেক শরীফও ।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায় , ৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাজল শীল এর বাড়ির রান্নার ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে । কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে যায় অন্ততঃ ৭টি বাড়ি, স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া পাশের আরও কয়েকটি বাড়ি আগুন থেকে রক্ষা করতে অন্তত ৪-৫টি বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিকদের মধ্যে রয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা ফকির চরণ, টাবুল শীল, রণজিৎ কুমার, বাদল শীল, কাজল শীল ও রণজিৎ শীল প্রমুখ ।
এদিকে পরে মহেশখালী সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ৭টি বাড়ি পুড়ে সম্পুর্ণ ছাই হয়ে গেছে। এদিকে স্থানীয় কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ আগুনে পুড়ে যাওয়া ৭টি বাড়ীর মালিক প্রত্যেককে নগদ ২০হাজার টাকা করে মোট এক লাখ ৪০হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্তরা তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যান তারেক শরীফের দেওয়া নগদ ২০হাজার টাকা পাওয়ায় খুবই উপক্রিত হয়েছেন বলে জানান তারা । ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, এই বিপদের সময় আমাদের চেয়ারম্যান তারেক শরীফ নগদ অর্থ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের খবর নিয়েছে কারণ আমাদের তো সব চলে গেছে , আমরা বাড়ি থেকে কিছু বের করতে পারিনি । ঘরের আসবাবপত্র সহ স্বর্ণ ও বিভিন্ন দামী জিনিস গুলোও পুড়ে গেছে ।