কুতুবদিয়ায় দিশেহারা ৩ এতিম শিশু কন্যা

fec-image

কুতুবদিয়ায় অসহায়ত্বে জীবন শুরু ৩ এতিম শিশু কন্যার। পিতা লেমশীখালী আফাজ উদ্দিন সিকদার পাড়ার লবণ শ্রমিক ইসমাইল (৩৫) এখন জীবিত নেই। দরিদ্রতায় অসুস্থ হয়েও কার্গোবোটে লবণ তুলতে গিয়ে মারা যান ২০১৮ সালে। স্ত্রী রুপার কাছে রেখে যান ৩ শিশু কন্যা। মায়মুনা আক্তার (১০), বাপ্পী আক্তার (৮) ও ফারজানা (৬)। স্বামীহারা রুপা ৩ শিশুর অন্ন জোগাতে স্বামীর যৌথ পরিবারে থেকে যান। মাথা গোঁজার ঠাঁই একটু হলেও দূরারোগ্য ব্যধি তাকে ছাড়েনি। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৩ শিশুকে অজানা সাগরে ফেলে চলতি বছর ৭ এপ্রিল চলে যান পরপারে।

৩ শিশুর বৃদ্ধা দাদী নুরুন নাহার বলেন, তার ৩ সন্তানের সবাই অভাবী। তাদের নিজের সংসার চালানোই দায়। এই এতিম ৩ শিশুর ভরণ পোষন করা দুস্কর হয়ে পরেছে তাদের। যৌথ পরিবারে একটি ছনের ঘর ছাড়া আর কিছুই রেখে যায়নি ওদের বাবা-মা। আমি নিজেও বার্ধক্যে অচল। সংসার চলে অভাব অনটনে। ছেলের রেখে যাওয়া অবুজ ৩টি শিশু কন্যা এখন সবার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ এই অবুঝ শিশুদের দায়িত্ব নিলে হয়তো জীবনের অন্ধকার পথ বদলে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, পরিষদ থেকে যত টুকু সম্ভব তারা চেষ্টা করছেন। তবে এতিম শিশু কন্যাদের জন্য স্থায়ী সহযোগিতার কোন ব্যবস্থা তারা করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন