খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব
ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে নানা আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহার, কল্যানপুর মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুর আর্য্য বন বিহার ও শান্তিপুর অরন্য কুটির বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত দানোত্তম কঠিন উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য শতশত পূণ্যার্থীরা বিহারগুলোতে সমাগম হয়। কঠিন চীবর দান উপলক্ষে বিহারে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, পানীয় দান, কল্পতরু দানসহ সকল দানীয় বস্তু দান করেন। এসময় ধর্মীয় গুরুরা পূন্যার্থীর উদ্যেশ্যে ধর্ম দেশনা দেন। এসময় জগতের সকল প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
দায়ক দায়িকারা এসময় যে যার সাধ্যমত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফুল-ফল, ছোয়াইং (খাবার) প্রদান করে বৌদ্ধসহ ভান্তিদের কে দান করেছে। সন্ধ্যায় ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে আকাশ প্রদীপ (ফানুস বাতি) উড়িয়ে দেয়া হবে।
আজ থেকে আড়ায় হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দষায় তার প্রধান সেবিকা মহা পূণ্যবর্তী বিশাখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে সুতা গুলো রং করে বয়ন করে সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কার্য সম্পাদন করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মহা যঙ্গ সম্পাদন করার কারণে বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলে।
তিন মাসের বর্ষাব্রত শেষে প্রবারণা তিথিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বিহার থেকে বের হন। পরের দিন থেকে বিহারে বিহারে চলে মাসব্যাপী কঠিন চীবরদানোৎসব।