খাগড়াছড়িতে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন পন্ড
সিনিয়র রিপোর্টার:
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ, দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং সমতল অঞ্চলে আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশনের দাবিতে পাহাড়ি তিনটি সংগঠনের ডাকা মানববন্ধন কর্মসূচি খাগড়াছড়িতে পুলিশি বাঁধায় পন্ড হয়ে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক যৌথভাবে সোমবার এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি মহাজনপাড়া এলাকা, উপজেলা পরিষদ এলাকায় ও চেঙ্গী স্কোয়ারে পাহাড়ীরা জমায়েত হয়ে মানববন্ধন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা পাহাড়িদের বাগবিতন্ডা হয়।
মানববন্ধনে বাঁধা দেওয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক শহরের টং রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলন করে মানবন্ধনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সদস্য ড. বোধিসত্ব দেওয়ান। প্রফেসর বোধিসত্ব দেওয়ান বলেন, ‘সরকার মুখে চুক্তি বাস্তবায়নে কথা বললেও বাস্তবে চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে ইউ কে জেন মারমা ড. সুধীন কুমার চাকমা, শেফালিকা ত্রিপুরা ও শিক্ষাবিদ মধুমঙ্গল চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ, দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং সমতল অঞ্চলে আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ও প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এদিকে খাগড়াছড়ির মাইছছড়ি, ভাইবোনছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন করতে চাইলে প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় করতে দেয়নি পুলিশ।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় তাদেরকে মানববন্ধন করতে দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক যৌথভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পানছড়ির দুদকছড়া থেকে নাইক্ষংছড়ির ঘুনধুম পর্যন্ত ৩’শ কিলোমিটারের দীর্ঘ মানববন্ধনের ডাক দেয়।