‘খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকতার খোলস পড়া এক শিক্ষকের প্রতারনার শিকার আমি’

“খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষিকার প্রেমের ফাঁদে সর্বশান্ত একাধিক পুরুষ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক :

“খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষিকার প্রেমের ফাঁদে সর্বশান্ত একাধিক পুরুষ” শিরোনামে পার্বত্য নিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বড়বিল মুসলিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জেসমিন আকতার। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেছেন, খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকতার খোলস পড়া এক স্কুল শিক্ষকের প্রতারণার শিকার আমি। মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন প্রকাশ এম এ হোসাইন আমার বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করে কাঙ্খিত সাফল্য না পেয়ে সে সাংবাদিকতার খোলস পড়ে আমার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশনের পথ বেঁচে নিয়েছে। সংবাদের বিভিন্ন জায়গায় আমার ব্যাক্তিগত চরিত্র হননের চেষ্টাকে তার জন্য কলঙ্কজনক বলেও দাবী করেছেন ঐ শিক্ষিকা।
 
উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তাকে বিয়ে পাগল উল্লেখ করে বিতর্কিত এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্ঠা করা হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।

তিনি বলেন, ব্যাক্তিগত জীবনে আমি দাম্পত্য অশান্তির কারনে প্রথম স্বামীর সাথে সংসার ভেঙ্গে গেলে ২০০৩ সালে আমি পরিবারের চাপে পুনরায় বিয়ে করি। ২০০৭ সালে আমি মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে যোগদানের পর একজন সহকর্মী হিসেবে অন্যান্যের মতো তার সাথেও আমার সুসম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে ওঠে। সে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে চায়। তার কথায় সরল বিশ্বাসে আমিও আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিই এবং আমরা বিয়ে করি। প্রতারক আনোয়ার হোসেন তার স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে আমাকে আলাদা ভাবে সংসার করতে বলে। এতে আমি আপত্তি করলে তার সাথে আমার বিরোধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে তার প্রথম স্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিরোধ আরো প্রকট আকার ধারন করে। এ কারনে আমাকে জেলও খাটতে হয়। দীর্ঘদিন পরে আমি গত ৬ আগষ্ট ২০১৩ইং তারিখে তাকে ডিভোর্স দিই। প্রতারক নারীলোভী সাংবাদিকের খোলস পড়া স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে ডিভোর্স দেয়ার পর সে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে কাল্পনিক, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে দাবী করেন তিনি।

বিভিন্ন পুরুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার তিনি সম্পুর্ন কাল্পনিক বলে দাবী করেছেন।

তার তৃতীয় স্বামী স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি উল্টো স্থানীয় শিক্ষক সমিতি থেকে তার সদস্য পদের অনুকুলে পচাত্তর হাজার টাকা সহ নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণাঙ্কার আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও সাংবাদিক মো: আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
 
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
পার্বত্যনিউজে “খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষিকার প্রেমের ফাঁদে সর্বশান্ত একাধিক পুরুষ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদক মো: আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সংশ্লিষ্ট সংবাদের সকল তথ্য-উপাত্ত তার কাছে রয়েছে। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই সংবাদটি তৈরী করা হয়েছে। তাছাড়া এই প্রতিবাদের বর্ণনা লিপিতে তিনি নিজেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বহু বিবাহসহ কিছু বিষয় স্বীকার করে নিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

4 Replies to “‘খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকতার খোলস পড়া এক শিক্ষকের প্রতারনার শিকার আমি’”

  1. Anwar Hossain, the so called characterless government primary school teacher is now journalist, it’s surprises us. He gets Parbatta news as one of the platform to sharp his dirty purposes and one of the reputed journalist Mehedi Hasan Polash is his patronizer. We request Mr Editor to avoid such types of culprits, like Anwar Hossain, Other wise valued readers would think like reporter, like editor.
    Mujibur Rahman
    CHT

  2. সত্য সব সময় অম্ল লাগে। লাগবে এটাই স্বাভাবিক। লজ্জা থাকা দর আনোয়ারের মতো অ-ভদ্র লোকের। নিজের কলঙ্ক অন্যের কাধে তুলে দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষক এখন সাংবাদিক সেজেছেন। এ লজ্জা এখন সাংবাদিকদের….

    খাগড়াছড়ির প্রকৃত সাংবাদিকেদের অনুরোধ করবো তাকে বয়কটের জন্য আর পার্বত্যনউজ সম্পাদককে অনুরোধ করবো তার মতো খোলসপড়া ব্যাক্তিকে বিঞ্জাপন দিয়ে বাতিল করার।

  3. আনোয়ার আবার কবে সাংবাদিক হলো। সে সাংবাদিক হইলে সাংবাদিকদের শেষ করেছে । তার চরিত্র যে কত ভালো সেইটা মাটিরাঙ্গার লোকেরা ভালো জানে। আরো ভালো জানে তার শিক্ষক বন্ধুরা। লম্পট মারকা সাংবাদিক আনোয়ার হতে সাবধান, নিজের বউ বা বোন থাকলে বাড়িতে নেবেনা। কখনো টাকা দিবেননা।

  4. একজন প্রাথমিক শিক্ষক হয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জা করেনা। মানুষ কত নীচে নামতে পারে তার উদাহরণ মি: আনোয়ার। যার চরিত্র এরকম সে সাংবাদিক হয়ে দেশকে কি দিতে পারবে। সরকারের টাকা জায়েজ হবেনা তোমার। চরিত্রটা পাল্টাও আনোয়ার….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন