খাগড়াছড়িতে ১ ঘণ্টার প্রতীকী প্রধান শিক্ষক হলেন মকলতি ত্রিপুরা

fec-image

খাগড়াছড়িতে জেলা ন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) উদ্যোগে ‘গার্লস টেকওভার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১ ঘণ্টার জন্য খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রতীকী দায়িত্ব পালন করেন জেলা এনসিটিএফ’র চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মকলতি ত্রিপুরা।

প্রতি বছর জাতীয় পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী সংগঠন ন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) এই “গার্লস টেকওভার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় প্রতীকী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মকলতি ত্রিপুরা।

খাগড়াছড়ি জেলা এনসিটিএফ’র সাবেক সভাপতি শচীন দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মোসলেম উদ্দিন উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন ‘এনসিটিএফ’ খাগড়াছড়ি জেলার সদস্যরা।

পরে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মোসলেম উদ্দিন’ এক ঘণ্টার জন্য ‘এনসিটিএফ’ খাগড়াছড়ি জেলার ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মকলতি ত্রিপুরাকে এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এক ঘণ্টার প্রতিকী প্রধান শিক্ষক’র দায়িত্ব পালনকালে মকলতি ত্রিপুরা বলেন, এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে সে গর্বিত ও তার মাঝে এক অন্য ধরনের অনুভূতি কাজ করছে যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না। তার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা তাকে জীবনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাইকেল রাখার জন্য গ্যারেজ তৈরি, ইভটিজিংসহ নানান বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক এস এম মোসলেম উদ্দিন বলেন, এমন আয়োজন কন্যাশিশুদের তার আগামী জীবনে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে। এমন কার্যক্রম খাগড়াছড়ি জেলার সকল পর্যায়ে পৌঁছে যায় সে প্রত্যাশা করেন তিনি।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। এসব বিষয়ে নজর দেবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ইউসুফ আদনান, খাগড়াছড়ি জেলা এনসিটিএফ’র সাবেক সভাপতি শচীন দাস, ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাকসহ এনসিটিএফ’র অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন