খাগড়াছড়ি পৌর শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার মাস্টার ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥
খাগড়াছড়ি পৌর শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পৌর সভা সাড়ে ১৩ কোটি টাকার ব্যায়ে দেড় কিলোমিটার জুড়ে মাষ্টার ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ ড্রেন নির্মাণের মধ্য দিয়ে শহরের জলাবদ্ধতার চিত্রই পাল্টে যাবে। পৌর শহরের আনন্দ নগর, কল্যাণপুর, রূপনগর, এলাকায় পুরোদমে ড্রেন নির্মানের কাজ চলছে। পৌর শহরকে পরিস্কার পরিছন্ন ও পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউজিপ প্রজেক্ট ফেইস থ্রী এর বিদেশি অর্থায়নে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।
জানা গেছে, কল্যাণপুর, রূপনগর, আনন্দনগর, গাউছিয়া নগর, গোলাবাড়ী, আপার পেড়াছড়া এলাকার চার থেকে পাচঁ হাজার পরিবার এ ড্রেন নির্মাণের ফলে জলা বদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। দেড় কিলোমিটার জুড়ে আনন্দ নগর থেকে শুরু হওয়া ড্রেনটি রূপনগর, গাউছিয়া নগর, গোলাবাড়ী আপার পেড়াছড়া, বটতলি হয়ে চেঙ্গী নদীতে গিয়ে পড়বে।
পৌর সভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী দীলিপ কুমার বিশ্বাস জানান, ড্রেনটির প্রস্থ ১.৭ মিটার উচ্চতা হচ্ছে ১.৮ মিটার। তিনি জানান দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। খাগড়াছড়ি পৌর সভার ইতিহাসে এত বিশাল আকারের ড্রেন এ প্রথম নির্মিত হতে যাচ্ছে। বিলের মধ্য দিয়ে বিশাল আকারের ড্রেনটি নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর পরই আশে পাশের জায়গা গুলোর দাম বেড়ে গেছে।
জলাবদ্ধতার আশঙ্কায়, এসব এলাকায় অনেকে বাড়ী ঘর করতে ভয় পেতো। এখন লোকজন এসব এলাকায় পৌর সভার ড্রেন নির্মাণ করার ফলে নতুন করে বাড়ী করার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম জানান, পৌর নির্বাচনে জনগনের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পৌর বাসিকে জলা বদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা করতে মাষ্টার ড্রেনের কাজ শুরু করা হয়। তিনি জানান, এ ড্রেনের কাজ শেষ হলে চার থেকে পাচঁ হাজার পরিবার জলা বদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পাবে।
তিনি আরো জানান, বিশাল এ ড্রেনের সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে সাব ড্রেন গুলো মিলিত হয়ে পড়বে। এছাড়া এলাকার চাহিদা অনুযায়ী উপরে স্লাব বসানো হবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মৃদুল বড়ূয়া সওদাগর, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পত্রিকার এজেন্ট রতন কুমার দে, রুপায়ন চাকমা, আবুশি মারমা ও সবুর কোম্পানী জানান , মাষ্টার ড্রেনটি নির্মাণের ফলে শহরের জলা বদ্ধতার চিত্রই বদলে যাবে। বর্ষা মৌসুমে লোকজন পানির কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে বলেও তারা জানান।
ড্রেন নির্মাণের তদারকি কাজে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ইসহাক জানান, পৌর শহরকে জলা বদ্ধতা ও পাহাড়ী ঢল থেকে রক্ষা করতে মাষ্টার ড্রেন প্রকল্পট্রি কাজ শুরু করা হয়।