টানা সাতদিন একদল যুবক তান্ডব চালালেও প্রশাসনের নজড়ে আসেনি

খাগড়াছড়ি সীমান্ত সড়কে ৪টি কালভার্ট ভেঙ্গে রড নিয়ে গেলো দুর্বৃত্তরা

খাগড়াছড়ির পানছড়ির সীমান্ত সড়কে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত ৪টি পাকা কালভার্ট ভেঙ্গে রড খুলে প্রকাশ্যে চুরি করে নিয়ে গেলো দুর্বৃত্তরা। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, দুর্ধর্ষ এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে দিনের আলোতেই। টানা সাতদিন ধরে একদল যুবক কালভার্টগুলো ভেঙ্গে গাড়িতে করে রড নিয়ে গেছে। আর দিনে-দুপুরে ঘটনাটি ঘটলেও এখনো জড়িতদের খুঁজে বের করতে পারেনি প্রশাসন। ঘটনা জানাজানি হবার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। দোষীদের খুঁজতে পানছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। দোষীদের কঠোর শাস্তি আওতায় আনা হবে জানিয়েছে প্রশাসন।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য কয়েক বছর আগে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি পাকা কালভার্ট নির্মাণ করে সরকার। তার মধ্যে লোগাং ইউনিয়নে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করেছে ত্রাণ ও দুযোর্গ মন্ত্রণালয় ও অন্য দুইটি নির্মাণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

সম্প্রতি এই এলাকায় সীমান্ত সড়ক নিমির্ত হওয়া সেতুগুলো যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে কাজ করত। তবে চলতি মাসে শুরুতেই সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এসব কালভার্ট ভেঙ্গে রড চুরি করে নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো- দুর্ধর্ষ এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে দিনের আলোতেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, টানা সাতদিন ধরে একদল যুবক কালভার্টগুলো ভেঙে গাড়িতে করে রড নিয়ে গেছে পানছড়ির দিকে। তবে তাদের কাউকেই চিনতে পারেননি স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পানছড়ি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, এই ঘটনায় পানছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, ঘটনায় তদন্ত চলছে। সরকারি সম্পত্তি চুরি করার ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কালভার্ট, খাগড়াছড়ি, সীমান্ত সড়ক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন