জোড়াতালির সড়কের নাম পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক

fec-image

বছরের পর বছর ধরে জোড়াতালি দিয়েই সংস্কার কাজ চলছে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে। যার ফলে ত্রিশ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে দ্বিগুন। পাশাপাশি প্রতিনিয়তই নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। তাছাড়া খানা-খন্দে জমে থাকা বৃষ্টির ময়লা পানিতে নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয় শিক্ষাথীসহ পথচারীদের পরিধেয় পোশাক।

সরেজমিনে পথচারী ও চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলার মাঝে এই সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যার উপর দিয়ে মাটিরাঙা উপজেলার জনগণও খাগড়াছড়ি সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে রাস্তাটি পড়ে আছে অবহেলিতভাবে। শুধুমাত্র সড়ক জনপথের একটি গাড়ি কয়েকদিন পর পর এসে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে খানাখন্দগুলি হাতে ভরাট করে হালকা বালির প্রলেপ মেরে দেয়। যা দু’দিন পর আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এ সব কাজ করার সময় কাজের গুণগত মান দেখার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন কর্মকর্তার দেখা মিলেনা।

ফলে দু’তিন জন শ্রমিক তাদের মনের মতো করে যেখানে মন চায় সেখানেই হালকা প্রলেপ ঢেলে কাজের ষোলআনা পূর্ণ করে। কয়েক সিএনজি, টমটম, মোটর সাইকেল ও জীপ চালক জানান, সারা বছর ধরে সড়কটি খানাখন্দে ভরা থাকে। ফলে গাড়ির চাকাসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ছয় মাসের স্থলে দু’মাসেই নষ্ট হচ্ছে। তাই আর্থিকভাবে তারা সব সময় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

আরো জানায়, খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি হয়ে দুধুকছড়া পর্যন্ত আঠারোটি কালভার্ট নতুনভাবে নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। কয়েকটি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এগুলো সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও রাস্তার অবস্থা বেহাল। রাস্তাটি সুন্দরভাবে মেরামত করার দাবি সকলের।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মো: ফয়সল জানান, রাস্তাটির অবস্থা আসলেই খারাপ যা আমি সরেজমিনে দেখেছি। এই রাস্তা নিয়ে সড়ক ও জনপথ তাৎক্ষনিক, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি তিনটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে গাড়ি দিয়ে নিয়মিত মেরামত কাজ চলছে।

রাস্তাটির টেন্ডার আহবান করা হয়েছে তাছাড়া ডিজাইনও পেয়েছি। এটি বার ফিট থেকে বৃদ্ধি করে আঠার ফুট চওড়া করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে পাশ হয়ে গেলে আগামী বছরের শেষ নাগাদ কাজ শুরু হতে পারে। রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চায় পানছড়ির আপামর জনগণ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কালভার্ট, পরিবহন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন