গাজায় নিহত আরও ৮৭, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ২৮ হাজার ৭০০

fec-image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৮ হাজার ৭০০ জনে।

এছাড়া আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৬৮ হাজার। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম আক্রমণে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮ হাজার ৬৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান বর্বর আক্রমণে আরও ৬৮ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৭ জন নিহত ও আরও ১০৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অস্থায়ী রায় সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল, গাজায় হামলা, নিহত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন