চকরিয়ায় গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে নির্যাতনের শিকার নুর আয়শা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামী জহির আহমদ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জহির আহমদ উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের হাফালিয়াকাটা সবুজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও নির্যাতনকারী শওকত আলমের পিতা।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় (চকরিয়া পেকুয়ার সার্কেল) তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঘটনার ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন,ঘটনায় জড়িত মূল আসামি শওকত পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতমধ্যে পুলিশ জহির আহমদকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার পূর্বক আদাতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস আগে নির্যাতনের শিকার নুর আয়েশা তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য শওকত আলমের কাছ থেকে চার হাজার টাকা সুদের উপর ধার নেয়। ইতোমধ্যে নুর আয়েশা ধার নেয়া টাকা সুদ ও আসলসহ আট হাজার টাকা পরিশোধও করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শওকত আরও দুই হাজার টাকা দাবি করে নুর আয়েশার কাছ থেকে। কিন্তু নুর আয়শা ওই টাকা পরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তা মানতে নারাজ শওকত। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শওকত গৃহবধু নুর আয়েশাকে একটি গাছের সাথে পরনের শাড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর, অমানবিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।

ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ঘটলেও ভুক্তভোগী এই বিষয়ে কাউকে কিছু না বলায় জানা যায়নি। পরে বুধবার সকালের দিকে নুর আয়েশার নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে স্থানীয় ও এলাকাবাসী জানতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গৃহবধূ, গ্রেপ্তার, চকরিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন